পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sv) a বংশ-পরিচয় ব্যবসায়ে পসার হইতে থাকায় তিনি পিতার অনুমতিক্রমে পুত্ৰকলাত্ৰসহ কটকে বাস করতে লাগিলেন । দ্বারিকানাগের নিকট তাহার গ্যেষ্ঠা কন্যা ও কনিষ্ঠ পুত্ৰ শ্ৰ:যুক্ত পূৰ্ণচন্দ্ৰ পাল রাইলেন । পূৰ্ণচন্দ্র তখন লেখাপড়া শেষ করিয়া কলিকাতায় চাকুর” করিতেছিলেন । চারি বৎসরের মধ্যেই গিরিশবাবু কটকে প্ৰভূত পসার করিলেন । কিন্তু অধিক দিন কটকে অবস্থান করা তাহার পক্ষে সম্ভবপর হইল না । তাহার পিতৃব্য বৈকুণ্ঠনাথ পালের মৃত্যু হওয়ায় তিনি ১৯০১ খৃষ্টাব্দের প্রথম হইতে কলিকাতা হাইকোটে ওকালতী করিতে আরম্ভ করিলেন। ঐ বৎসর ফেব্রুয়ারী মাসে ৭৫ বৎসর বয়সে তাহার পিতার মৃত্যু হয়। হাইকোটে তিনি অতি অল্পদিনের মধ্যে পাস{ার কারিয়া ফেলিলেন । কটকে তাহার বিশেষ প্ৰতিপত্তি থাকায় তিনি উড়িষ্যার প্রায় সমস্ত মামলা মোকদ্দমা চালাইবার ভার প্রাপ্ত হইতেন । ফলে তাহার কােল কাতা ছাড়িয়া অন্যত্ৰ যাইবার সুবিধা না হওয়ায় তিনি কলিকাতায় বাস। করিয়া সপরিবারে বাস করিতে লাগিলেন। ১৯১২ খৃষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রহিত হওয়ায় বিহার ও উড়িষ্যা একটি স্বতন্ত্র প্রদেশে পরিণত হয় এবং ১৯১৬ খৃষ্টাব্দে পাটনায় একটি নুতন হাইকোর্ট স্থাপন করা হয় । তখন বিহার ও উড়িষ্যা দেশের সব মোকদ্দমা কলিকাতা হাইকোটে না আসিয়। পাটনা হাইকোটে যাইতে লাগিল এবং কটকে একটি সাকিট হাইকোর্ট গঠিত হইয়া তথায় বিচার চলিতে লাগিল। এই নূতন বন্দোবস্ত অনুসারে গিরিশবাবুর প্রায় সমস্ত মামলা মোকদ্দম। কটকের সার্কিট কোটে চলিয়া গেল । তিনি মক্কেলদের অনুরোধে পুনরায় কটকে গেলেন। সেখানে সার্কিট কোর্ট ছাড়া আরও অন্যান্য কোটে তাহাকে মামলা চালাইতে হইত। গুরুতর পরিশ্রমের ফলে