পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায় শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বাহাদুর প্রায় এক শতাব্দী পূৰ্ব্বে নদীয়া জেলায় চক্রদ্বীপের ( চাকদহের ) নিকট মনসাপোতা গ্রামে স্বৰ্গীয় ঈশ্বরচন্দ্ৰ গঙ্গোপাধ্যায় বাস করিতেন ! তাহার আদিনিবাস বৰ্দ্ধমান জেলায় বাগনাপাড়ার নিকট একটি ব্ৰাহ্মণ প্ৰধান গ্রামে। ঈশ্বরচন্দ্ৰ মনসাপোতায় বিবাহ করিয়া অধিকাংশ সময় সেই স্থানেই থাকিতেন। তিনি বেগের গাঙ্গুলী এবং হরিরাম গাঙ্গুলীর সন্তান। একশত বৎসর পূর্বে এরূপ কুলীন ব্ৰাহ্মণ যে কেবলমাত্র একটী বিবাহ করিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন ইহা ধারণ করা যায় না। ঈশ্বরচন্দ্রও এ নিয়মের ব্যতিক্রম করেন নাই। বালি, রাণাঘাট প্ৰভৃতি নানা স্থানে তিনি আরও দশটিী বিবাহ করিয়াছিলেন। তঁহার আক্ষেপ ছিল—আর একটী বিবাহ করিয়া দ্বাদশটী পূর্ণ করিলে বৎসরে একমাস করিয়া প্ৰত্যেক শ্বশুরালয়ে জামাই-আদরে কাটাইতে পারিতেন। সমৃদ্ধিশালী রাণাঘাটে বনেশ্যাপাধ্যায়-বংশ বিশেষ সম্রান্ত ছিলেন । এই বংশে রামকুমার, প্রাণহরি ও মধুসুদন বন্দ্যোপাধ্যায় তিন সহোদর ভ্ৰাতা বিশেষ সম্মানশালী ও তৎকালীন স্বনামখ্যাত ব্যক্তি। ঈশ্বরচন্দ্ৰ হঁহাদিগের সহোদরা চণ্ডীদেবীর পাণিগ্রহণ করেন। সাধবী রমণী পতির আদরে বঞ্চিত না হইলেও কখন শ্বশুর-গৃহে বাস করিয়াছেন বলিয়া শুনা যায় নাই। চিরকাল ভ্রাতাদের সংসারে থাকিতেন এবং তাঁহাই নিজের সংসার মনে করিতেন। ভ্রাতাগণও খ্যাতনামা কুলীনের হস্তে