পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় ডাক্তার দ্বারকানাথ রায় Sክጋ”b পূর্বেই বলা হইয়াছে, দ্বারকানাথ গ্ৰাম্য স্কুলে পড়িতে যাইতেন, কিন্তু পড়াশুনার উপর তঁহার সেরূপ অনুরাগ ছিল না। স্কুলের দৈনিক পাঠ কোনও দিন তিনি তৈয়ারী করিতেন, কোনও দিন তৈয়ারী না করিয়াই স্কুলে যাঈতেন । একে ত তাহাকে পড়া বলিয়া দিবার লোক ছিল না, তাহার উপর তাহার নিজের যত্ন-চেষ্টা ছিল না। ছেলেবেলা হইতেই লেখাপড়ার উপর তাতার অবহেলা ছিল ; কিন্তু খেলা-ধূলা ও শারীরিক পরিশ্রমের কাৰ্য্যের উপর খুব টান ছিল। দ্বারকানাথের খুড়তুত ভগিনীর পুত্ৰ শশীকুমার নাগ দ্বারকানাথদের বা তীতে থাকিয়া ঢাকাতে পড়িতে যাইত ; তাহার নিকট হ’তে দ্বারকানাথ কখনও কখনও স্কুলের প দ্রা বুঝাইয়া লাইতেন। তিনি প্ৰত্যহ প্ৰাতঃকালে খুব অল্পক্ষণ বই লইয়া বসিতেন এবং যাত হয় সেইরূপ পড়াশুনা করিতেন। তার পর স্নান করিয়া যাহা পাইতেন তাহাই তাড়াতাড়ি খাইয়া একখানি চাদর কঁধে ফেলিয়া পড়িবার বই ও শ্লেট হাতে করিয়া স্কুলে যাইতেন। স্কুলে উপস্থিত হইয়া যদি দেখিতেন, স্কুল বসিতে কিছু দেৱী আছে, তাহা হইলে সেই সময়টুকু খেলা করিতেন। স্কুলের ছুটী হইলে দ্রুত বাড়ীতে আসিতেন এবং কিছু খাইয়াই মাঠে চলিয়া যাহতেন এবং সেখানে সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত নানা রকম খেলা করিতেন। দ্বারকনাথ খেলাতে অত্যন্ত পটু দিলেন। সন্ধ্যার সময় বা তীতে ফিরিয়া আসিয়া হাত পা ধুয়ো পড়িতে বসিতেন। কোনও দিন ভাত খাইয়া পড়িতে বসা হইত ; কোনও দিন ভাত খাইবার পূর্বে পড়া আরম্ভ করিতেন। ভাত খাইয়া পতিতে বসিলে শীঘ্রই ঘুম আসিত ও তিনি ঘুমাইয়া পড়িতেন। সন্ধ্যার পর একটি পলিতায় মৃৎপ্রদীপে তৈলের আলো জ্বলিত ; উহাতে আলো এত কম হইত যে, কোনও প্রকারে পুস্তকের অক্ষর দেখা যাইত ও সহজেই ঘুম পাইত। কিছুক্ষণ পুস্তকাদি নাড়া-চাড়া করিয়া তিনি ঘুমাইয়া পড়িতেন। পৌষ মাঘ মাসে ধানক্ষেতের ধান পূর্বে কাটিয়া লইলে, এই ধানগাছি