পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বংশ-পরিচয় উচ্চশিক্ষা-সম্বন্দীঘ একটী বিশেষ ও বহুদিনের অভাব দূরীভূত হইয়াছে । বীরভূম জেলা কেবল বীরভূম কেন বাঙ্গালার অন্যান্য জেলা হইতেও ছাত্ৰগণ এই কলেজে অধ্যায়নার্থ আগমন করিতেছে ; কারণ, এই কলেজে অপেক্ষাকৃত অল্পব্যয়ে লেখাপড়া শিখান হইয়া থাকে। কৃতী ছাত্ৰগণকে এই কলেজে বিনা বেতনে পড়াইবার ব্যবস্থা আছে । ইহার বৈষয়িক বুদ্ধি প্রখর এবং জমিদারী-পরিচালনায় ইহার পারদর্শিতাও প্ৰভৃত । ইহার জমিদারী এরূপ সুপরিচালিত যে অপব্যয হইবার উপায় নাই। পক্ষান্তরে, কয়লা খনির ও কলকারখানা করিয়াছেন । উচ্চপদস্থ রাজপুরুষগণ ইহার সম্বন্ধে অত্যন্ত উচ্চ ধারণা পোষণ করিয়া থাকেন । যাহারাই ইহার সহিত একবার আলাপ করেন, তাহারাই ইহার রাজভক্তির প্রশংসা করিয়া থাকেন। গত ১৯১৬ খৃঃ কুমার সত্যনিরঞ্জন / রাজা” উপাধিতে ভূষিত হইয়াছেন। মহামহিম যুবরাজের প্রতি শ্ৰদ্ধা ও সন্ত্রম এবং রাজভক্তির নিদর্শনস্বরূপ তিনি ভিক্টোরিয়া-স্মৃতি-ভাণ্ডারে ২৫ হাজার টাকা দান করেন ; ইতিপূর্বে তিনি আরও ১০ হাজার টাকা ভিক্টোরিয়া-স্মৃতি-ভাণ্ডারে দান করিয়াছেন । যুবরাজ প্রীতির সহিত এই দান গ্ৰহণ করেন । জৰ্ম্মণ-মহাযুদ্ধের সময়ে রাজা সত্যনিরঞ্জন সৈনিক-সংগ্রহে সহায়তা করিবার জন্য ঘোষণা করিয়াছিলেন যে, তাহার প্রজাদের মধ্যে র্যাহারা সৈন্যদলভুক্ত হইয়া ভারতের বাহিরে যুদ্ধ করিতে যাইবে তাহাদিগকে তিনি নানারূপে অর্থসাহায্য করিবেন। এই প্ৰতিশ্রুতি তিনি রক্ষাও করিয়াছিলেন। গবমেণ্ট সৈনিক-সংগ্রহে তাহার এই সাহায্যের বিষয় আনন্দের সহিত লিপিবদ্ধ করেন ।