পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় ত্ৰৈলোক্যনাথ মিত্ৰ SApፃሉ সদস্য হন। ১৮৯৩ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি গ্রেট ব্রিটেনেব। রয়াল এসিয়াটিক সোসাইটীর সদস্য হন । বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হইবার জন্য তিনি পদপ্রার্থী হইয়াছিলেন এবং তঁাহার নির্বাচিত হইবারও যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তৎপূর্বেই তাহার মৃত্যু হয়। ১৮৯৫ খ্ৰীষ্টাব্দের ৮ই এপ্রিল ডাঃ ত্ৰৈলোক্যনাথ মিত্ৰ ভবানীপুরে জররোগে মারা যান, মৃত্যুকালে তঁহার মাতা, স্ত্রী, একটী পুত্র ও চারিটি কন্য। জীবিত ছিলেন । হাইকোটের প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিগণ র্তাহার মৃত্যুতে গভীর শোক প্ৰকাশ করেন। এই সম্বন্ধে ১৮৯৫ খ্ৰীষ্টাব্দে। ২০শে এপ্রিল “ইংলিসম্যান” পত্রে নিম্নলিখিত বিবরণটি প্রকাশিত হয়— “গত কল্য হাইকোটে প্ৰধান বিচারপতি ও বিচারপতি মিঃ বেভারলি আসন গ্ৰহণ করিলে অস্থায়ী এডভোকেট-জেনারেল স্যার গ্রিফিথ ইভান্স। তঁহাদিগকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “ডাঃ ত্ৰৈলোক্যনাথ মিত্রের মৃত্যুতে উকিল ও এটনীগণ যে শোক পাইয়াছেন, আমি তাহা প্ৰকাশ করিতেছি। গত কল্য সন্ধ্যাকালে অকস্মাৎ তঁাহার মৃত্যু হইয়াছে। তিনি এই আদালতের অন্যতম প্ৰাচীন ব্যবহারাজীব ছিলেন এবং তঁাহার পারদর্শিতা ও ন্যায়পরায়ণতায় জন্য তিনি সকলের সম্মানাহঁ ছিলেন ।” সিনিয়র গভর্ণমেণ্ট উকিল বাবু হেমচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন :- “ডাঃ ত্ৰৈলোক্যনাথ মিত্রের মৃত্যুতে এই আদালতের উকিলগণ বিশেষ দুঃখিত হইয়াছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্ৰতিভাবান ছাত্র ছিলেন। তিনি জীবনে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন। তিনি দেশহিতকর কাৰ্য্যে সতত অগ্ৰণী ছিলেন। তাহার মৃত্যুতে আমরা যে কি পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছি তাহা ভাষায় বর্ণনা করা সুকঠিন। তাহার শূন্য স্থান শীঘ্ৰ পূৰ্ণ হইবে না।” প্ৰধান বিচারপতি বলেন-“আজি প্ৰাতে আদালতে আসিয়া আমরা ডাঃ ত্ৰৈলোক্যনাথের অকস্মাৎ মৃত্যুসংবাদ শুনিতে পাইলাম। আমি