পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" NOlpe বংশ-পরিচয় নামের বা যশের প্রয়াসী ছিলেন না । তাহার দান সম্বন্ধে ইংরেজ কবির ভাষায় বলা চলে। -- “Did good by stealth, Blushed to find it flamed." অর্থাৎ তিনি পরোপকার বা লোকহিত করিতেন গোপনে , কিন্তু ইহা কেহ জানিতে পারিলে তিনি লজিক্তত হইতেন । দীননাথের ধারণা ছিল, ঈশ্বর তাহাকে যে ধনসম্পত্তি প্ৰদান করিয়াছিলেন, তিনি উহার মালিক নহেন ; এই ধন দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তের দুঃখ ও অভাবমোচনের জন্যই বিধাতা উহ। তাহার নিকট জমা রাখিয়াছেন। এই বিপুল সম্পত্তির তিনি নােসর ক্ষক মাত্ৰ। উপাধিব্যাধি কখনও তঁহাকে আক্রমণ করে নাই । তাহার পুণ্য-স্মৃতিসকলের হৃদয়েই জাগারুক থাকিবে । প্ৰভুপাদ পণ্ডিত গৌরগোবিন্দ গোস্বামী বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেন :- শ্ৰীচৈতন্যের উপদেশ-অনুসারে বলিলে বলিতে হয়, দীননাথ ব্ৰাহ্মণেরও অধিক ছিলেন । ‘অমৃতবাজার পত্রিকা'র শ্ৰীযুত মৃণালকান্তি ঘোষ বাৰ্দ্ধক্যে অসমর্থ হইলেও সভায় উপস্থিত হইয়াছিলেন । তিনি বলেন :-“আমার জ্যৈষ্ঠতাত শিশিরকুমার ঘোষ মহাশয়ের নিকট দীননাথ একবার গিয়াছিলেন। শিশিরকুমারের দেখা পাইবামাত্র দীননাথ তাহার পদতলে পতিত হইতে যাইতেছিলেন, কিন্তু শিশিরকুমার তখনই তঁহাকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করিয়া বলেন, তুমি পরম বৈষ্ণব , আমার মাথার মণি।” স্বৰ্গীয় স্যার গুরুদাস বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের পুত্ৰ শ্ৰীযুত উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, এম-এ,বি-এল বলেন : - আমার হৃদয় আজ আনন্দে এতই অভিভূত হইয়া পড়িয়াছে যে, মুখে কিছু বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। আমি শ্ৰীভগবানের নিকট এই প্রার্থনা করিতেছি যে, তিনি যে