পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 SVe বংশ-পরিচয় সিভিল-সার্জন ছিলেন ; ইনি এখনও জীবিত। এক্ষণে র্তাহার বয়স ৮০ বৎসর। পূর্ববঙ্গে :-ঢাকা ও বরিশালে তিনি বহুবৎসর asst Surgeon ছিলেন । তঁহার চিকিসা নৈপুণ্যে সকলেই তাহাকে শ্রদ্ধা করিয়া থাকে । ডাক্তার যতীন্দ্ৰনাথ অকপট স্বদেশ-ভক্ত । তিনি যে কেবল চক্ষু চিকিৎসায়ই বিশেষজ্ঞ তাহা নহেন, তিনি দেশ ও জাতির সর্বপ্রকার কল্যাণদায়ক কাৰ্য্যেই আত্মনিয়োগ করিয়া থাকেন । বাঙ্গালার ব্যবস্থাপক সভায় এবং কলিকাতায় অবস্থানকালে তাহার স্বদেশ-প্রীতি ও স্বজাতিপ্রেমের পরিচয় দেশবাসী পুনঃ পুনঃ পাইয়াছেন। দেশ ও জাতির সেবায় তিনি যে একনিষ্ঠ এবং স্বাৰ্থলেশশূন্য, ইহা তাহার অতি বড় শক্রি ও আসঙ্কোচে স্বীকার করিয়া থাকেন। তিনি বিদ্যোৎসাহী, মাতৃ ভাষার পরম অনুরাগী ও বঙ্গসাহিত্যের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। তিনি স্বয়ং সুপণ্ডিত এবং অপরের জ্ঞান-চর্চায় প্ৰভূত উৎসাহ দান করিয়া থাকেন। তিনি দরিদ্র – বিশেষতঃ দরিদ্র ছাত্ৰগণের পরম বন্ধু। ফরিদপুর জিলা রাষ্ট্রীয় সম্মিলনীর সভাপতির পদে বৃত করিয়া তাহার স্বদেশবাসী তাহাকে সম্মানিত করিয়াছিল । সেই সম্মিলনীতে ( ১৩৩৫ সালের ৮ই বৈশাখ )। তিনি যে অভিভাষণ প্ৰদান করিয়াছিলেন, তাহাতে র্তাহার অকপট দেশগ্ৰীতি, বিপুল অভিজ্ঞতা, প্ৰভূত রাষ্ট্রনৈতিক জ্ঞান এবং পাণ্ডিত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। র্তাহার সেই উপদেশবাণী জনগণের কল্যাণ-বিধায়ক হইবে মনে করিয়া আমরা উহ। নিম্নে অবিকল উদ্ধৃত করিলাম :- • “অভ্যর্থনা-সমিতির কর্তৃপক্ষগণ, সহযোগী কম্পিবৃন্দ ও উপস্থিত ভদ্রমণ্ডলী :- আজ আমাকে এই সভার নেতারূপে বরণ করিয়া আমার মত ক্ষুদ্র ব্যক্তিকে যে পরিমাণে উৎসাহিত ও গৌরবান্বিত করিয়াছেন, তাহার জন্য আপনাদিগকে কি বলিয়া ধন্যবাদ দিব তাহার উপযুক্ত ভাষা আমি

  • এই সন্মিলনীতে শ্ৰীযুক্ত সুভাসচন্দ্ৰ বসু স্বৰ্গীয় বিপিনচন্দ্ৰ পাল প্ৰভৃতি উপস্থিত ছিলেন