পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 BS ংশ-পৰিচয় কারক হইয়া থাকে এবং সেই জন্য মোটের উপরে কৃষকের ২ বৎসরের আয় ৩ বৎসরে ধরা যাইতে পারে । তাহা হইলে প্ৰত্যেক চাষার আয় বৎসরে ৪০২ টাকা মাত্র । জমীদারের খাজনা, চাষের খরচা প্ৰভৃতি বাদ দিয়া যাহা থাকে 'তাহা দ্বারা কৃষকের নিজের এবং তাহার পোস্যবৰ্গেব। অন্নবস্ত্রের স’ স্থান করিতে হয় । ৭ বিঘা জমী চাষ করিতে বৎসরের মধ্যে ১ মাসের অধিক সময় লাগা উচিত নয় । দেশে কলকারখানা ও শিল্প-কাৰ্যোর সুবিধা থাকিলে কুযকগণ এই অবসর-সময়ে তাহাতে কৰ্ম্ম করিয়া অর্থ উপাৰ্জন করিতে পারে। কিন্তু এ দেশে সে সুবিধা এখনও সম্পূর্ণ ঘটিয়া উঠে নাই। সুতরাং বৰ্ত্তমানে কৃষকের চাষের জমীর পরিমাণের অত্যািল্লতাকেই কৃষকের দরিদ্রতার মূল কারণ বলা যাইতে পারে । এই কৃষকগণের অবস্থার উন্নতি করিতে হইলে তাহাকে বৈজ্ঞানিক কৃষি-প্ৰণালীর জ্ঞান দিতে হইবে । পাশ্চাত্য দেশের কৃষকের আয় এ দেশের কৃষকের আয় অপেক্ষা অনেক বেশী ; যথা-ক্যানাডার কৃষকের আয় ৫৫,০২, ঢাকা, ইংরাজ কৃষকের আয় ৭,২০২ টাকা এবং প্ৰত্যেক কৃষকের গড়ে জমীর পারমাণ বাংলার প্রত্যেক কৃষকের জমীর পরি মাণের ১০ গুণেরও বেশী । দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপের কৃষকের সংখ্যা সমস্ত লোকসংখ্যার শতকরা ১১ জন মাত্র কিন্তু তাহদের প্রত্যেকের জমীর পরিমাণ ৪৬০ একা ব এবং তাহদের কৃষির উপযোগী জমী বাংলার কৃষকের জমীর ৮ গুণেরও বেশী । গ্রেটবৃটেন ও আয়লণ্ডে যতখানি জায়গা, ভারতবর্ষে ততথানি জায়গায় ধানের চাষ হয়। চীন দেশেও ধান পচুর জন্মে। কিন্তু একার ফসলের হার সব চেয়ে স্পেন ও ইটালীতেই অধিক । সমগ্ৰ