পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bፖቶም ter-9 ft ভুল হইয়াছে। পরদিন প্ৰাতঃকালে কাৰ্য্যালয়ে উপস্থিত হইয়াই তিনি যুবক বিনোদচন্দ্ৰকে ডাকিয়া পাঠাইলেন এবং তিনি আসিলে বলিলেন-“মিত্ৰ তোমার অভিমতই ঠিক ; আমি ভুল করিয়াছি। তুমি আমাকে প্ৰথম পরাজিত করিলে।” এই বলিয়া মিষ্টার আপজান তাহার অভিমত-সঙ্কলিত কাগজপত্র পার্শ্ববৰ্ত্তী অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করিলেন । ব্যারিষ্টারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া বিনোদচন্দ্ৰ ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে কলিকাতায় প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করেন এবং কলিকাতা হাইকোর্টের ব্যারিষ্টার-শ্রেণীভুক্ত হন । হাইকোর্টে শীঘ্রই তিনি বিচারপতি মিষ্টার সেল ও বিচারপতি মিষ্টার জেনকিন্সের ( পরে স্যার লরেন্স জেনকিন্স ) মনোযোগ আকর্ষণ করেন । কলিকাতা হাইকোটের ব্যারিষ্টার-রূপে তঁহার যোগ্যতা উত্তরোত্তর পরিস্ফুট হইতে থাকে এবং তিনি ক্রমেই উন্নতি-শিখরে উঠিতে আরম্ভ করেন। তিনি কিছুদিন সুপ্ৰসিদ্ধ ব্যারিষ্টার স্বৰ্গীয় মিষ্টার এসব পি সিংহের ( পরে লর্ড সিংহ ) সহকারী ছিলেন। পরে নিজ কৃতিত্বে নিজেই সাফল্য ও প্ৰসিদ্ধি লাভ করিতে থাকেন । তিনি যে মামলা হাতে লইতেন, উহার জন্য কঠোর পরিশ্রম করিতেন । তাহার বিচার-বিশ্লেষণের শক্তি ছিল অসীন , মামলা বুঝাইবার ক্ষমতাও তেঁাহার অসাধারণ ছিল ; তাহার উপর আইনের জ্ঞান ছিল তাহার সুগভীর। সমস্ত বিষয় তিনি তলাইয়া, না বুঝিয় তাহাতে ट्रांऊ १ि८ऊन न । ১৯১০ খৃষ্টাব্দে স্যার বিনোদচন্দ্ৰ কলিকাতা হাইকোর্টের ষ্ট্যাণ্ডিং কৌমুলি নিযুক্ত হন। এই সময়ে বাঙ্গালা গবমেণ্ট তাঁহাকে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য মনোনীত করেন। ষ্ট্যাণ্ডিং কৌসুলি-হিসাবে তাহাকে হাইকোর্টের দায়রায় ফৌজদারী মামলা পরিচালনা করিতে