পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় ܓ ܘ ܐ গুরুজনগণের উপদেশে যোগেন্দ্ৰনাথ তর্তাহার পিতার গঙ্গাযাত্রার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। কিন্তু এই নিষ্ঠুর উপদেশে যোগেন্দ্ৰনাথের । চিত্তে সবিশেষ ভাবান্তর উপস্থিত হয় এবং তাহার হৃদয় এই নিষ্ঠু , প্রথার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হয়। গঙ্গাতীরে অবস্থান করিয়া নীলরতনের পীড়ার প্রশমন হইল এবং তিনি ক্ৰমে নীরোগ ও সুস্থ হইয়া উঠিলেন । এই সময়ে আবােব গুরু জনগণ উপদেশ দিলেন-যে বেগী গঙ্গাযাত্রার পব মৃতু্যকে আলিঙ্গন না করিয়া পুনরায় জীবিত হইয়া উঠে তাহাকে বাড়ীতে ফিরাইতে নাই ; যোগে ন্দ্রনাথ তাহদের এই ব্যবস্থায় অত্যন্ত ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হহয়ছিলেন বটে, কিন্তু পরে প্রৌঢ় বয়সে তিনি বলতেন,-- এই অন্যায় সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে দাড়াইবার সাহস তত অল্প বয়সে আমার হয় নাই । গঙ্গা তীর হইতে তিনি তাহু'র পিতাকে কলিকাতায় লইয়া যান এবং তথায় শিয়। তখনকাব কালের কয়েকজন সুশিক্ষিত জননায়কের সভি ত তাহার আলাপ-পরিচয় হয় । ইহার ফলে তাহার ভবিষ্যৎ জীবনের গতি নিৰ্দ্ধারিত হয়। নীলরতন অনেকটা সুস্থ হইয়া বাড়ীতে ফি'রয়া যাইবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করেন । পুত্ৰ যোগেন্দ্ৰনাথ গুরুজনগণের অন্যায় উপদেশ অগ্ৰাহা করিয়া তাহাকে বাড়ীতে লইয়া আসেন। বাড়ীতে আসিবার পর আবার তিনি রোগাক্ৰান্ত হয়েন । রোগ সঙ্কটাকার ধারণা করিলে যোগেন্দ্ৰনাথ আর তঁাহার পিতাকে চিরাচরিত অন্যায় প্রথার সম্মান রক্ষা করিয়া গঙ্গাতীরে লইয়া যান নাই ; তৎপরিাবৰ্ত্তে তিনি গঙ্গাতীরে একটি বাট ভাড়া লইয়া তথায় তাহার পিতাকে লইয়া যান। সেই বাড়ীতে তদীয় পিতৃদেব নীলরতন वश्च शृङ्J श्च । গুরুজনগণের উপদেশক্রমে তিনি তঁহার স্বৰ্গীয় পিতার দানসাগর শ্ৰাদ্ধ সুসম্পন্ন করেন। কিন্তু শ্ৰাদ্ধের সমুদয় অনুষ্ঠান দেখিয়া তিনি