পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহালার রায়-বংশ (Վ} সভাপতি এবং ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসনের সদস্য ছিলেন । এতদ্ব্যতীত তিনি বেঙ্গল ল্যাণ্ড হোল্ডাস এসোসিয়েসনের অনারারি - সেক্রেটারী, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক ও ইণ্ডাষ্টিয়াল এসোসিয়েসনের কোষাধ্যক্ষ এবং আলিপুর সেণ্টাল জেলের বে-সরকারী পরিদর্শক ছিলেন । তিনি কলিকাতা রিপণ কলেজের ও কলিকাতা অন্ধ বিদ্যালয়ের গভাৰ্ণিং বডির সদস্য ছিলেন। তিনি দাৰ্জিলিং লুইস জুবিলি স্যান্যাটেরিয়মের পরিচালক-সমিতির সদস্য ছিলেন । এইসকল ভিন্ন তিনি বহু বিদ্যালয়, পাঠাগার ও টোল-চতুষ্পাঠীর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। সুরেন্দ্ৰনাথ বেহালা উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ের প্রেসিডেণ্ট ছিলেন। অনেকগুলি দাতব্য চিকিৎসালয়ের প্রতিষ্ঠার মূলে তঁাহার আন্তরিক যত্ন ও চেষ্টা ছিল । পুষ্করিণী-খনন, পুরাতন পুষ্করিণীর সংস্কার সাধন প্ৰভৃতি সৎকাৰ্য্যে তিনি বহু অর্থ ব্যয় করিয়া গিয়াছেন । তিনি সেণ্টজেভিয়াস কলেজের ওলন্ড বয়েজ এসোসিয়েসনের ভাইস-প্রেসিডেণ্ট এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-এল এর পরীক্ষক ছিলেন। গবমেণ্ট অফ ইণ্ডিয়ার মেষ্টন এওয়ার্ড সম্বন্ধে তিনি তঁহার অভিমত ব্যক্তি করিবাব সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং এবিষয়ে তাহার অভিমত লিপিবব্ধ করিয়া তিনি গবমেণ্টকে জানাইয়াছিলেন। নবদ্বীপের পণ্ডিতমণ্ডলী তঁহাকে “শাস্ত্রীবাচস্পতি’ উপাধিতে ভূষিত করিয়াছিলেন। ১৯১৭ খৃষ্টাব্দে সুরেন্দ্ৰবাবু বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় বাধ্যতামূলক প্ৰাথমিক শিক্ষা আইনের খসড়া পেশ করেন এবং বিপুল পরিশ্রম ও চেষ্টার ফলে ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে উহা পাশ করাইয়া লন । এ সম্বন্ধে বক্ততা করিবার সময়ে তিনি বাঙ্গালার অধিকাংশ মিউনিসিপ্যালিটীর চেয়ারম্যানগণের অভিমত উদ্ধত করেন। সেগুলি বাঙ্গালা দেশের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন প্ৰবৰ্ত্তনের অনুকূলই ছিল। বঙ্গদেশে বাধ্যতামূলক প্ৰাথমিক শিক্ষা আইনের পাণ্ডুলিপি