পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6वरुद्र द्वध्र-दश* (፩ ዓ অধিবাসীরা শিক্ষার মূল্য এরূপ বুঝেন যে, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির জন্য কোনও বিধান করিবার প্রয়োজন হয় নাই । আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষার ইতিহাস বড় স্পষ্ট নহে। প্ৰাচীন ভারতে আমাদের যে শিক্ষায়তন বা বিদ্যাপীঠ ছিল, এবিষয়ে সন্দেহ নাই। কিন্তু এখনকার যুগে বাধ্যতামূলক প্ৰাথমিক শিক্ষা বলিতে যাহা বুঝায় ঠিক তাহা এদেশে ছিল কি না, তাহা আমরা জানি না। দেশের জনসাধারণ কতদূর প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করিত তাহা বলা যায় না । ১৭৯৩ খৃষ্টাব্দের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে স্বীকার করা হইয়াছে যে, সংস্কৃত টোল ও মুসলমানদের মক্ত বের জন্য স্থায়ীভাবে নিষ্কর জমী দান করা ছিল। ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে লর্ড বেণ্টিঙ্কের শাসন-কালে এদেশে সে সময়ে প্ৰাথমিক শিক্ষাদানের কিরূপ ব্যবস্থা ছিল তদ্বিষয়ে বিস্তৃত ভাষে তদন্ত হইয়াছিল । এই তদন্ত-ব্যাপারের অধ্যক্ষ ছিলেন মিষ্টার আডামস। তিনি বলেন,-সেই সময়ে নিম্ন বঙ্গে প্ৰায় এক লক্ষ পাঠশালা ও গ্ৰাম্য বিদ্যালয় ছিল । তিনি জনসাধারণকে শিক্ষা দিবার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধও করিয়াছিলেন । ইহার পর অনেক দিন দেশীয় বিদ্যালয়গুলিকে সাহায্য করার বা উহাদিগের উন্নতি-সাধনের কোনও ব্যবস্থা সরকার হইতে করা হয় নাই। ১৮৫৩ খিষ্টাব্দে “সার্কেল f5፲ር8ጓ” (Circle System ) 23f65 2: ; ইহার উদেশ্য ছিল অবিলম্বে দেশীয় বিদ্যালয় ও শিক্ষকগণের উন্নতি-সাধন। ১৮৮৩ খিষ্টাব্দে ইণ্ডিয়ান এডুকেশন কমিশনের রিপোটো আমরা দেখিতে পাই১৮৭০-৭১ খিষ্টাব্দে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রসংখ্যা ছিল ৬৮,৫০০ ; অবশ্য ইহাদের ভিতরে মধ্য বা উচ্চ শ্রেণীর বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শ্রেণীর ছাত্ৰগণকে ধরা হয় নাই। ১৮৮১-৮২ খষ্টাব্দে কেবল প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ংখ্যা হইয়াছিল ৯ লক্ষ । ছাত্র-সংখ্যার অনুপাতে প্ৰাদেশিক গবমেণ্ট