Cशव्द्र झञ्झ-दश्• هو তিনি বহু সংবাদ ও সাময়িক পত্রে লিখিতেন ; বলা বাহুল্য, তাহার রচনায় সংবাদ ও সাময়িক পত্রের গৌরব ও সৌষ্ঠববৃদ্ধি হইত । ১৩৩৬ সালের ( ১৯২৯ খৃষ্টাব্দ) ২৫শে কাৰ্ত্তিক সোমবার কৰ্ম্মী সুরেন্দ্রনাথ স্বৰ্গারোহণ করেন " জনৈক লোক স্বৰ্গীয় সুখে শ্ৰদ্ৰনাথের কৰ্ম্মময় জীবনের এক সংক্ষিপ্ত ও সুন্দর কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । রেখা দ্বারা যেমন ছবিকে ফুটাইয়া তোলা যায়, এই সংক্ষিপ্ত কাহিনীর ভিতর দিয়া তেমনই সুরেন্দ্ৰনাথের এমন পরিচয় ফুটিয়া উঠিয়াছে যে, তাহার সাহায্যে সুরেন্দ্রনাথকে স্পষ্ট চিনিতে ও বুঝিতে পারা যায়। আমরা এই স্থলে উক্ত লেখক মহাশয়ের রচনা উদ্ধৃত করিলাম :- ‘সুরেন্দ্ৰনাথ তাহার গ্রামবাসীগণের নিকট এত সুলভ ছিলেন যে, তাহার জীবিতকালে তাহার ধনবৈভব ও আত্মপ্ৰতিষ্ঠা ছাড়া আমাদের স্থূলচক্ষে তঁর চরিত্রের আর কোন দিক প্ৰতিভাত হয় নাই। আজ তাহার তিরোধানের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বুঝিতে পারিতেছি যে, তিনি সাধারণের চেয়ে কত বড় ছিলেন । ভগবান তাহাকে সর্বস্ব দিয়াছিলেন ; ভগবান র্যাকে সর্বস্ব দেন, তিনি ভাগবত শক্তি লাভ করেন । সুরেন্দ্ৰনাথ ভগবানের বরপুত্ৰ । “বড়লোকের ঘরে জন্মগ্রহণ করিয়া তিনি ‘কমলবিলাসী’’ ছিলেন না । সাহিত্য-সাধনা ও দেশসেবা তাহার ব্রত ছিল । কতদিন দেখিয়াছি তিনি নির্জনে ইংরাজি, বাঙ্গালা ও সংস্কৃত সাহিত্যের চর্চা করিতেছেন। একাধারে ত্ৰিশ বৎসর কাল সাউথ সুবাৰ্ব্বান মিউনিসিপ্যালিটির সভাপতির পদে বৃত থাকিয়া দেশের নানা সমস্যার সহিত তঁর সাক্ষাৎ পরিাচয় হইয়াছিল। তিনি রক্ষণশীল দলের মধ্যে একজন অগ্ৰণী ছিলেন । থিয়েটার, বায়োস্কোপ ও নব্যাতন্ত্রের সন্তা আধুনিকতা তঁহার মনের বীজবেষ্টনী ভেদ করিতে পারে নাই। তাই বলিয়া তিনি পাষাণ
