পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণী ভবানী SVOS এম্বুলে একটি ঘটনার উল্লেখ করিব। উচ্ছঙ্খল যুবক সিরাজদ্দৌলা তখন মুর্শিদাবাদে নবাব। র্তাহার অত্যাচারের সীমা এতদূর চরমে গিয়া পৌঁছিয়াছে যে, রাজা হইতে প্ৰজা পৰ্য্যন্ত সকলের তাহা অসহনীয় হইয়া উঠিয়াছে।। জগৎ শেঠের বাড়ীতে সকলে পরামর্শ করিবার জন্য বসিলেন। সেই পরামর্শ-সভায় মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ৰ, সেনাপতি মোহনলাল, রাজা নন্দকুমার, রাজা রাজবল্লভ, সেনাপতি দুল্লািভরাম, সেনাপতি মীরজাফর সকলেই আসিয়াছেন, চিকের আড়ালে বসিয়া রাণী ভবানীও পরামর্শ-সভার আলোচনা শুনিতেছেন। জগৎ শেঠ বলিলেন, নবাব সিরাজদ্দৌলা যেরূপ কুলবধুর উপর। পৰ্য্যন্ত পাশবিক অত্যাচার আরম্ভ করিয়াছেন, তাহাতে বাঙ্গালার মসনদে আর তাহাকে DBS BBE BDS SDDBDD SD LDD BD L0 S BBB প্ৰতিবাদ করিলেন না। মোহনলাল সিরাজের পক্ষ টানিয়া কিছু বলিয়া সভাক্ষেত্ৰ ত্যাগ করিলেন। মীরজাফর বলিলেন, ইংরাজদিগের সহিত র্তাহার যে কথাবাৰ্ত্ত হইয়াছে, তাহাতে তিনি বুঝিতে পারিয়াছেন, ইংরাজেরা সিরাজকে সিংহাসনচু ও করিয়াই অন্য ভাল লোককে নবাবী দিবে এবং রাজ্যে তাহদের কোনই আসক্তি নাই । অতএব ইংরাজ বণিকের সহায়তায় সিরাজকে দূর করাই কৰ্ত্তব্য। সভাস্থ সকলে মীরজাফরের কথার সমর্থন করিলেন । রাজা জগৎ শেঠ রাণী ভবানীর অভিমত জানিতে চাহিলে তিনি চিকের অ!ড়াল হইতে বলিলেন, “সিরাজ অত্যাচারী বটে, কিন্তু সে অত্যাচার দমন করিবার জন্য নিজেদেরই চেষ্টান্বিত হওয়া কৰ্ত্তব্য। এজন্য ইংরেজ বণিকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত নহে। পরনির্ভরতা এরূপ ক্ষেত্ৰে সৰ্ব্বথা পরিত্যজ্য । কিন্তু নবাবীর আশায় উন্মত্ত মীরজাফর রাণী ভবানীর এই সদুক্তি শুনিলেন না, তাহার প্ররোচনায় “স্ত্রীলোকের পরামর্শ” বলিয়া রাণী ভবানীর পরামর্শ অগ্ৰাহ হইল ; সকলেই মীরজাফরের পরামর্শ গ্ৰহণ