পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V द९थ-*बिष्ध বেহুলা তাহার দুরবস্থার কথা জ্ঞাপন করিলে রজাকিনী তঁহাকে সঙ্গে করিয়া দেবলোকে লইয়া গেল। রজকিনী দেবতাদের কাপড় কাচিত, তাহার নাম ছিল “নেত”। বেহুলা নেতার নিকটে অনেক অনুরোধ করিয়া একখানি কাপড় ইতিপূর্বে কাচিয়া দিয়াছিলেন, সেই কাপড়খানি নেতার কাচা কাপড় হইতে উৎকৃষ্ট হইয়াছিল। সে কাপড়খানি স্বয়ং দেবাদিদের মহাদেবের। মহাদেব কখনও কাপড় পরিতেন না, দেবতাদের পীড়াপীড়িতে দুই একখানা কাচাইয়া রাখিতেন মাত্ৰ। আজ কাপড় দেখিয়া তাহার মহা আহলাদ হইল, তিনি নেতাকে বলিলেন, “স্থা রে নেতা ! এ কাপড় কি তুই কাচিয়াছিলি?” নেত বলিল, “না, আমার এক ভগিনীর কন্যা আসিয়াছে, সেই-ই এই কাপড় বঁচিয়াছে।’ মহাদেব বেহুলাকে দেখিতে চাহিলেন। নেত ইতিপূর্বে বেহুলাকে প্ৰচ্ছন্নভাবে অন্যত্র রাখিয়া গিয়াছিল, এবার দেবসভায় উপস্থিত করিল। দেবতারা নেতর মুখে শুনিতে পাইলেন যে, তাহার ভগিনীর কন্যা নৃত্য-গীতে পরম পটু। এই কথা শুনিয়া দেবতারা বেহুলাকে নৃত্য-গীত করিতে বলিলেন। বেহুলা দেবতাদের অনুমতি লইয়া অপূর্ব নৃত্য-গীতে র্তাহাদিগকে পরিতুষ্ট করিলেন। মহাদেব বেহুলার পরিচয় চাহিলেন, বেহুল সজল নয়নে আপন পরিচয় দিয়া মৃত স্বামীর জীবন ভিক্ষা চাহিলেন । মহাদেব তখন মনসা দেবীকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। মনসা দেবী আসিয়া বলিলেন, “এই স্ত্রীলোকটির শ্বশুর। গ্রামে গ্রামে বাড়ীতে বাড়ীতে আমার পূজা বন্ধ করিয়াছে, তাহার সকল পুত্রের জীবন লইয়াছি, সাতখানি ভরা নৌকা জলে ডুবাইয়াছি, তথাচ লোকটির চৈতন্তোদয় হয় নাই।” বেহুলা অতীব বিনয়ের সহিত মনসাদেবীর সকল কথা মানিয়া লইলেন এবং তঁহার শ্বশুর ভবিষ্যতে আয় কখনও তাহাব (মনসা দেবীর) কোন প্ৰকার অসন্মান করিবেন।