পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাবিত্রী te করিয়াছেন। আজকাল যে সকল নবীন কবি প্রেমিক-প্রেমিকার মুখে হাস্তের লহর, বাহাড়ম্বরের নিঝরিণী এবং দীর্ঘনিশ্বাস, হা-হুতাশ, মুচ্ছ ইত্যাদি চিত্র অঙ্কন করিতেছেন, প্ৰাচীন মহাকবিদের কাব্যে cन्द्र° छ्व् िन् । সুধু পতিকে ভালবাসিলেই পাতিব্ৰত্য ধৰ্ম্ম আচরণ করা হয় না, পতি যে বস্তু ভালবাসেন, পতির যাহা শ্ৰেয়ঃ সেই বস্তুর প্রতি অকাট্য শ্রদ্ধা ও ভক্তিকে পাতিব্ৰত্য বলে। যে স্ত্রীলোক আপন পতিকে শ্ৰদ্ধা-ভক্তি করেন, কিন্তু শ্বশুর, শ্বাশুড়ী, ননদ প্রভৃতিকে তাদৃশ ভক্তি ৰূরেন না। তাহাকে পতিব্ৰতা নারী বলা যায় না। সত্যবানের সহিত বিবাহ হইলে সাবিত্রী এক বৎসর পরেই বিধৰ হইবেন, একথা তিনি নারদের মুখ হইতে শুনিয়াছিলেন ; কিন্তু তিনি তাহাতে বিন্দুমাত্ৰ সন্ধুচিত বা ব্যথিত না হইয়া আপন প্রারব্ধ ফল ভোগ করিতে স্বীকার করিলেন। পিতা বলিলেন, “সাবিত্রি! তুমি রাজসংসারে চিরদিন সুখের ক্ৰোড়ে লালিত পালিত হইয়া কেমন করিয়া পৰ্ণশালায় বাস করিবে ?” পিতার কথা শুনিয়া সাবিত্রী উত্তর করিলেন “যেখানে পতি থাকেন। সেই আমার প্রাসাদ । পতির গৃহকৰ্ম্ম করিতে আমি একটু ক্লেশ বোধ করিব না।” এই কথা বলিয়া সাবিত্ৰী সত্যবানের পাতীত্ব স্বীকার করিলেন । শ্বশুরালয়ে যাইবার পর সাবিত্রী অহােরাত্র কেবল নারদের ভবিষ্যদ্বাণী স্মরণ করিতেন। দিন গণনা করিতে করিতে অবশেষে সত্যবানের কালপ্রাপ্তির সময় নিকটবৰ্ত্তী হইল। সত্যবানের মৃত্যুর তিন দিন মাত্ৰ আছে, সাবিত্রী অন্নজল পরিত্যাগ করিয়া কি করিয়া স্বামীর প্রাণ রক্ষা করিবেন, এই চিন্তা করিতে লাগিলেন। সাবিত্রীর কঠোর ব্ৰত দেখিয়া শ্বশুর বলিলেন “মা, তুমি এইরূপ কঠোর ব্ৰত করিয়া নিজেই যে মারা যাইবে।” সাবিত্ৰী শ্বশুরকে অতি বিনীত