পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় যোগেন্দ্ৰচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। কাটোয়া থানায় দেওয়াসীন নামে ক্ষুদ্র পল্লী অবস্থিত। জনশ্রুতি আছে, বহু পূর্বে এক ব্ৰহ্মচারীর উপর দেবতার আবেশ হয়। তিনি এই স্থানে ঘটস্থাপনপূর্বক প্রত্যহ ধূমধামের সহিত পূজাৰ্চন করিতেন এবং পীড়িতের পীড়া শান্তির জন্য এবং বন্ধ্যার পুত্ৰ লাভ নিমিত্ত ঔষধ বিতরণ করিতেন । ক্ৰমে ২৪ জন তাহার সেবক হইয়া তথায় বাস করিতে থাকিল। গুণে আকৃষ্ট হইয়া আরও লোক তথায় ঘর-বাড়ী করিল। স্থানটী মনোরম-নদীর তীরে। ক্রমশঃ স্থানটী পল্পীরূপে পরিণত হইল। ব্ৰহ্মচারীকে লোকে দেওয়াসীন ( দেবাসীন) বলিত । কালবশতঃ লোকের কথায় কথায় সে স্থানের নামও দেওয়াসীন হইয়া দাড়াইয়াছে। এই ক্ষুদ্র পল্লীতে যোগেন্দ্ৰচন্দ্রের জন্ম । অল্প বয়সেই তাহার লোকান্তর ঘটিয়াছে। জনশ্রুতি আছে, ইহার বহু পূৰ্বপুরুষের বাস ছিল পদ্মাপারে। ইহার খনিয়ানের চাটুজ্জী, শ্ৰীকরের সন্তান। সুরুই মেল। যোগেন্দ্ৰচন্দ্রের পুত্ৰ নীলমণির উদ্ধতন সপ্তম পুরুষ নন্দকিশোর একজন বড় পণ্ডিত ছিলেন। তঁহার লিখিত কয়েকখানি উপাদেয় সংস্কৃত গ্ৰন্থ ছিল, দুৰ্ভাগ্যক্রমে সেগুলি কীটদষ্ট হইয়াছে এবং ঐ গুলির সারাংশ ধ্বংস হইয়া গিয়াছে। ছিন্ন জীৰ্ণ পত্রাবলীর সংযোজন জন্য বিধিমত চেষ্টা করিয়াও কৃতকাৰ্য্য হইতে পারা যায় নাই। র্তাহার উপাধি ছিল, সার্বভৌম । নীলমণির উৰ্দ্ধতন চতুর্থ পুরুষ ( প্ৰপিতামহ) নফরচন্দ্র ১০৪ বৎসর বয়সে ইহধাম পরিত্যাগ করেন। পরের দুঃখমোচনের প্রবৃত্তি র্তাহার বড়ই প্ৰবল ছিল। লোককে টাকা ধার দিয়া তিনি কখন দলিল লয়েন নাই ; চন্দ্ৰ-সুৰ্য্যকে সাক্ষী মানিয়া ছাড়িয়া দিতেন। তাহাতে কাহারও টাকা অনাদায় হইলে বলিতেন,-ও টাকা