বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 SqSR ংশ-পরিচয় সহিত আলাপ করিবার সুযোগ পাইয়া ধন্য হইয়াছি । কনিষ্ঠ সহোদরের হ্যায় আমাকে মেহের চক্ষে দেখিতেন । কেবল আমি বলিয়া নহে, যিনি কখনও সেই মহাপুরুষের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছেন, তিনিই তঁহার সাধুতা, উদারতা, সরলতা, বৈষ্ণবধৰ্ম্মে প্ৰগাঢ় নিষ্ঠ ও জ্ঞানীর উপযুক্ত সদালাপে মুগ্ধ হইয়াছেন । কায়স্থ জাতির তিনি যথার্থ একজন বান্ধব ছিলেন । কিসে কায়স্থ জাতির মৰ্য্যাদা, সামাজিক গৌরব ও স্বধৰ্ম্মোচিত সংস্কার অক্ষুন্ন থাকে। এ সম্বন্ধে তিনি অনেকের সহিত আলোচনা করিয়াছেন । স্বজাতির গৌরব-প্ৰতিষ্ঠা কল্পে তাহারই উদারত-প্রভাবে প্ৰথমে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ শ্ৰীযুক্ত শরদিন্দুনারায়ণ রায় প্রাজ্ঞ এম-এ মহোদয় এবং পরে তঁাহার কনিষ্ঠ শ্ৰীযুক্ত পূর্ণেন্দু নারায়ণ রায় মহাশয় যথাশাস্ত্ৰ ক্ষত্ৰোচিত উপনয়ন-সংস্কারে সংস্কৃত হইয়াছেন । কায়স্থ সভার প্রতিষ্ঠা হইতে রায় সাহেব এই সভার সভ্য হইয়াছেন এবং সভার সকল কাৰ্য্যেই তিনি সহানুভূতি ও উৎসাহ প্ৰকাশ করিয়া আসিয়াছেন । আজ তাহার অভাবে কায়স্থ-জগতের যে বিশেষ ক্ষতি হইয়াছে তাহা বলাই বাহুল্য । আশা করি এবং করুণাময় ভগবানের নিকট প্রার্থনা করি, সেই মহাপুরুষের উপযুক্ত পুত্রদ্বয় পিতৃদেবের নিৰ্ম্মল চরিত্রের উজ্জল দৃষ্টান্তর অনুবৰ্ত্তী হইয়া স্বজাতির ও সমাজের গৌরব ও মঙ্গল-বিধানে নিয়ত তৎপর হইবেন ।” ভগবানের বিধানে তঁহার অচলা ভক্তি ছিল । শেষ জীবনে তঁহার স্ত্রী ও জামাতৃ-বিয়োগ হয় ও তিনি নিজে অন্ধ হন । এই দুর্ভাগ্যের জন্য তিনি শোকাৰ্ত্ত, ক্লিষ্ট বা লক্ষ্যভ্ৰষ্ট হন নাই। এ সকলও সেই ভগবানের নির্দেশ মনে করিয়া মাথা পাতিয়া লইয়াছিলেন এবং প্ৰকৃত বৈষ্ণবের ন্যায় “তরেরপি সহিষ্ণুতা’ প্ৰদৰ্শন করিয়া অটল প্ৰশান্ত ছিলেন। কেবল একটী বিষয়ে তঁহাকে বিচলিত করিয়াছিল । তিনি অন্ধ হইবার পর পাছে অতিথি-সৎকারে কোনও ক্ৰটী হয় ভাবিয়া