পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nò ( 7 বংশ-পরিচয় দেখাইয়া গিয়াছেন । পিতার পর ২১ বৎসর কাল যোগ্যতার সহিত বান হাউসের বেনিয়ানের কাৰ্য্য করিয়া বহু ব্ৰাহ্মণ-কায়স্থের অন্নের ংস্থান করিয়া দিয়াছিলেন । তঁহাদের ভিতর আজও র্যাহারা জীবিত আছেন তাহারা তাহার গুণগান করেন । তদানীন্তন ব্যবসায়ী রোলী মেফ রিজিনের আফিসেও তিনি মুচ্ছন্দির। কাৰ্য্য করিয়া প্ৰায় লক্ষাধিক টাকা উপাৰ্জন করিয়া গিয়াছেন। ধনীর পুত্র ধনী হইয়াও সাদাসিধে। অবস্থার মধ্যে এমন ভাবে জীবন যাপন করিতেন যে, অনেকে তঁহাকে কৃপণ বলিতে কুষ্ঠিত হইতেন না । ইহা তঁহার শ্লাঘার বিষয় ছিল ! অযথা ব্যয়ের অনুমোদন তিনি কোনও দিনই করেন নাই। সনৎকুমারের ভ্রাতৃপ্ৰেম পিতৃস্নেহেরও উপর ছাপাইয়া ভ্ৰাত অটলকুমারকে চিরমুগ্ধ রাখিয়াছিল। ভাই ছাড়া তিনি একদণ্ডও থাকিতে পারিতেন না। আত্মীয়-স্বজনের প্ৰতিও তিনি অত্যন্ত স্নেহপরায়ণ ছিলেন । প্ৰতিদিন সকালে বিষয়কাৰ্য্য দেখিতেন, পরে আহারাদি করিয়া আফিসে যাইতেন এবং বৈকালে বিশ্রামান্তে সংস্কৃত-চৰ্চায় সময় অতিবাহিত করিতেন । ইহার মধ্যে আত্মীয়-স্বজনের সহিত দেখাশুনা করিতেও ভুলিতেন না । ইনি সিমলা-নিবাসী লক্ষ্মীনারায়ণ বসুর কন্যা বিপিনবিহারী দেবীকে বিবাহ করেন এবং অপুত্ৰক ছিলেন । ইহার সহধৰ্ম্মিণীর দীন-দরিদ্রের প্রতি দয়া, ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতের প্রতি শ্রদ্ধা, নিজেদের শালগ্রাম শিলা শ্ৰীশ্ৰীলক্ষ্মীনারায়ণের প্রতি আচল ভক্তি ও বিশ্বাস ছিল । তিনি বৎসরের প্রতি পুণ্য-মাসাবধি ব্ৰাহ্মণদের কিছু না কিছু নিত্য দান করিতেন। অবস্থাপন্নদের প্রতি ইহার তত আস্থা ছিল না ; কিন্তু গরীবদের ইনি মা-বাপ। ছিলেন । ইহার কাছে কাৰ্য্য করিয়া বাটীর লোকজনে অনেক অর্থ কামাইয়া গিয়াছেন। ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ শ্ৰীমান আচলকুমারের প্রতি কসস্ত্ৰ সনৎকুমারের অপরিসীম ভালবাসার তুলনা ছিল না।