বালি-সমাজ ঘোষ-বংশ ܘ ܓ ভূতপূর্ব রেজিষ্টার,-অধুনা স্বৰ্গগত রায় সূৰ্য্যকুমার চৌধুরী বাহাদুরের জ্যেষ্ঠ কন্যা শ্ৰীমতী ইন্দুবালা ধীরেশবাবুর সহধৰ্ম্মিণী । ধীরেশবাবুর সৌভাগ্যের মূলে র্তাহার সহধৰ্ম্মিণী ! ধীরেশবাবুর সাত পুত্র ও পাঁচ エ功|| ধীরেশবাবুর জ্যেষ্ঠপুত্ৰ শ্ৰীযুক্ত অমমব্রেন্দ্ৰনাথ নোযান ১৯০০ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন । ইনি ইহার মাতামহ স্বৰ্গীয় রায় সূৰ্য্যকুমার চৌধুরী বাহাদুরের অত্যন্ত প্ৰিয় ছিলেন এবং বাল্যকালে মাতামহের নিকটই লেখাপড়া শিক্ষা করেন। ছাত্রাবস্থায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন এবং কৃতিত্বের সহিত স্কটিস চার্চ কলেজ হইতে ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে বি-এ পাশ করেন । বি-এ পাশের পর ইচ্ছা করিলেই ইনি খুব ভাল চাকরি পাইতে পারিতেন। কিন্তু তাহা না করিয়া পিতার সুপ্ৰতিষ্ঠিত ব্যবসায়ে যোগদান করাই উপযুক্ত বিবেচনা করেন। ধীরেশবাবুর ব্যবসার বর্তমান উন্নতি অমরবাবুর একান্ত চেষ্টা ও যত্নে সম্ভব হইয়াছে ! কলিকাতা “গ্লাস ষ্টোরসে”র ইনি এখন অন্যতম প্ৰধান অংশীদার হইয়াছেন। অমরবাবুর মত জনপ্রিয়, সরল-স্বভাব, নিরহস্কার কৃতী যুবক বাঙ্গালীর মধ্যে অল্পই দেখা যায়। সুপ্ৰতিষ্ঠিত ব্যবসার কর্ণধার-রূপে সকল সময় নিখুক্ত থাকিয়াও ইনি নানাবিধ জনহিতকর প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবের সহিত সংশ্লিষ্ট আছেন ; ইনি “বেঙ্গল জিমখানা” নামক ক্রিকেট ও এরিয়ান ক্লাবের গ্ৰাউণ্ড সেক্রেটারী এবং দেশবন্ধু ব্যায়ামসমিতির সম্পাদক ও এলবাৰ্ট স্পোটিং ক্লাবেরও প্ৰতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক । কলিকাতার সমগ্ৰ উত্তরাঞ্চলে অমরবাবু বিশেষ পরিচিত এবং সর্বত্র সমাদৃত । দুৰ্ভাগ্যক্রমে অমরবাবুর পারিবারিক জীবন সুখের হয় নাই। র্তার প্রথম স্ত্রী অকালে কালত্যাগ করিলে তিনি মজঃফরপুরের বর্তমান এডিসনাল জেলা-জজ বাবু ক্ষেত্ৰনাথ সিংহের একমাত্ৰ কন্যার পাণিগ্রহণ করেন। দুৰ্ভাগ্যক্রমে ইনিও একটি শিশু পুত্র রাখিয়া অকালে প্ৰাণত্যাগ