পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাজি আবদুর রশিদ SS) লবণ ও পুলিশ বিভাগে উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া প্রচুর অর্থ ও সম্পত্তি অর্জন করিয়াছিলেন । তিনি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার অন্তৰ্গত স্বীয় পৈত্রিক বাটীর নিকটবৰ্ত্তী মাঠ ডোবা মাটী দিয়া ভরাট করিয়া এক গ্ৰাম স্থাপন করেন এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র আবদুল আজীজ খার নামানুসারে এই গ্রামের নাম আজীজপুর রাখেন। তিনি গভর্ণমেণ্টের অধীনে বহুদিন চাকুরী করিয়া সমাজে বিশেষ প্ৰতিপত্তি অর্জন করেন । তিনি নোয়াখালী সহরের মধ্যে বৃহৎ অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন এবং এই জেলায় বহু ভূসম্পত্তি করিয়া গিয়াছেন। তিনি ধৰ্ম্মপরায়ণ, কাৰ্য্যদক্ষ, দানশীল ও চরিত্রবান লোক ছিলেন । কথিত আছে, দেশে দুভিক্ষ কিংবা অজন্ম হইলে তিনি দরিদ্র প্রজাবর্গের নিকট হইতে খাজনা আদায় করিতেন না, পরন্তু তিনি নিজ অর্থব্যয়ে তাহাদের গ্রাসাচ্ছাদনের সুবন্দোবস্ত করিয়া দিতেন । তিনি একজন বিদ্যোৎসাহী পুরুষ ছিলেন । স্বীয় নামানুসারে ‘সাবেরিয়া মাদ্রাসা” নামে একটা মাদ্রাসা বহু অর্থব্যয়ে প্রায় একশত বৎসর পূর্বে স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। এই মাদ্রাসাই নোয়াখালি জেলার প্রথম মাদ্রাসা এবং এই মাদ্রাসায় পূর্ববঙ্গের অনেক দরিদ্র মুসলমান শিক্ষালাভ করণান্তর অর্থেপাৰ্জন দ্বারা দরিদ্রতা নিবন্ধন দুঃখ-কষ্টের হাত হইতে পরিত্রাণ পাইয়া সুখে সংসার যাত্ৰা নির্বাহ করিয়াছেন । এই মাদ্রাসা অদ্য পৰ্য্যন্ত বিদ্যমান থাকিয়া সাবের খার কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিতেছে । তিনি যোগ্য ব্যক্তিগণকে বহু অর্থ ও ভূসম্পত্তি দান করিয়া গিয়াছেন। তঁহার পুত্র আবদুল আজীজ খাঁ। নোয়াখালী ও ঢাকা ডিষ্ট্ৰক্ট বোর্ডের ও লোকাল বোর্ডের সভ্য ও অবৈতনিক ম্যাজিষ্ট্রেটের কাৰ্য্যে বিশেষ কৃতিত্ব প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন ! তঁহারই প্ৰবল আন্দোলনের ফলে গভর্ণমেণ্ট মুসলমান সমাজে কাবিনের দেয় ষ্ট্যাম্প তুলিয়া দিতে বাধ্য হন।