> ケ বংশ-পরিচয় ঈশ্বরচন্দ্রের উন্নতি—ঈশ্বরচন্দ্রের সাফল্য-ঈশ্বরচন্দ্রের খ্যাতি, প্ৰতিপত্তি যে পরিমাণ প্ৰভাব বিস্তার করিয়াছিল। তাহা কয়জনের জগন্না আছে । যৌবন আরম্ভের সঙ্গে সঙ্গে শ্ৰীনাথচন্দ্ৰ ব্যবসায় উপলক্ষে কলিকাতায় আসেন । এই সময় কলিকাতায় বাস করা পল্লীবাসিগণের পক্ষে অত্যন্ত দুঃসাহসের কাৰ্য্য বলিয়া বিবেচিত হইত। কলিকাতা তখন এতখানি শ্ৰীসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যকর সহর হইয়া উঠে নাই। তথায় নোনা জল ও নোন। হাওয়ায় লোকের অচিরে স্বাস্থ্যভঙ্গের আশঙ্কা ছিল । পয়ঃনালিগুলির অবস্থা সুসংস্কৃত না থাকায় মশা, মাছি ও নানা প্ৰকার বিষাক্ত কীটের উপদ্রবে তথাকার অধিবাসিবুন্দকে সর্বদা অস্থির হইতে হইত। এরূপ অবস্থায় শ্ৰীনাথচন্দ্ৰ কলিকাতায় আসিয়া বাস করিতে আরম্ভ করেন। মধ্যে মধ্যে তিনি দু’একদিনের জন্য নিজ পল্পীভবন উদয়গঞ্জে পদব্ৰজে যাইতেন এবং নির্দিষ্ট দিনে আবার পদব্ৰজে কলিকাতায় ফিরিয়া আসিয়া আমানবদনে কৰ্ম্মে যোগদান করিতেন। এত দীর্ঘপথ ভ্ৰমণের জন্য কোন ক্লেশ বা অবসাদ তিনি কখনও বোধ করেন। •ाठे । কৰ্ম্মে ছিল তাহার অসাধারণ অনুবাগ । তিনি কলিকাতায় আসিয়া দুইটি মাত্ৰ পুষ্করিণী জমা লইয়। তাহাতে মৎস্তের চাষ আরম্ভ করেন এবং উত্তরোত্তর এই কারবারে উন্নতি লাভ করিয়া স্ব-সমাজে প্রভূত যশ ও সম্মানের অধিকারী হন। কিন্তু এই যশ, এই সম্মান তাহাকে সম্যক তৃপ্তি দান করিতে সমর্থ হয় নাই। তাহার অন্তরের মধ্যে অশান্তির আগুন সর্বদাই জ্বলিত। তিনি লেখাপড়া জানেন না, তিনি মুর্থ-তিনি বর্ণ-জ্ঞানহীন-এই লজ্জা, এই গ্লানি তিনি
