পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBB DBDBD DDDDBD DBD BBBDB R 0 চৌধুরী কাজেমদীন আহমদ সিদ্দিকী বালিয়াদিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এই প্ৰাচীন বংশের একমাত্ৰ বংশধর, কারণ অন্যান্য বংশধরগণের জায়গীর দানে ও বিক্রয়ে নষ্ট হইয়াছে। কাজেমদীন স্বগৃহে আরবী, পােরশী, উর্দং ৰাঙ্গালা এবং ইংরাজী শিক্ষা করেন। প্ৰথম চারিটিী ভাষায় ইনি বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করিয়াছেন। ইনি একজন কবি, পাশ্য ও বাঙ্গালী ভাষায় অনেক পদ্য গ্ৰন্থ রচনা করিয়াছেন । কাজেমদীন একজন আদর্শস্থানীয় জমিদার। তাহার জমিদারী ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলায় বিস্তৃত । তাহার প্রজারা তাহাকে পিতার কৃষ্ঠায় শ্রদ্ধা ও ভক্তি করে । তিনিও প্ৰজাদিগের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়াছেন । যদি খান বাহাদুরের ন্যায় প্ৰজাবৎসল জমিদার এই বঙ্গদেশে অধিক সংখ্যায় থাকিত, তাহা হইলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সদুদ্দেশ্য সিদ্ধ হইত এবং দরিদ্র প্রজাদেরও দুঃখ দুৰ্দশা বহু পরিমাণে দূরীভূত হইত। তিনি ভাগ্যক্রমে বহু ধন সম্পত্তির মালিক হইয়াছেন এবং অনায়াসে সহরে অন্যান্য জমিদারদের ন্যায় সুখে, স্বাচ্ছন্দ্যে ও বিলাসিতায় দিন অতিবাহিত করিতে পারিতেন ; কিন্তু প্ৰজার দুঃখ কষ্ট ও সুখ সুবিধাকে তিনি নিজের বলিয়া মনে করেন, সেই জন্য তিনি দরিদ্র প্রজাদের মধ্যে স্বগ্রামেই বাস করিয়া থাকেন । তাহার কৰ্ম্মচারিগণ কখনও কোনও প্ৰজার নিকট হইতে ‘আবওয়াব’” গ্ৰহণ করেন না। প্রজাবর্গের মধ্যে অন্নকষ্ট ও অর্থকৃচ্ছতা উপস্থিত হইলে খান বাহাদুর প্রজাবর্গের খাজনা যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস করিয়া থাকেন । ১৯১৮ সালে যখন সমস্ত খাদ্যসামগ্রীর মূল্য অসম্ভব রকমে বৃদ্ধি হইয়াছিল, তখন খান বাহাদুর র্তাহার ওয়াকফ ষ্টেটের প্রজাবর্গের এক বৎসরের খাজনা মাফ করিয়াছিলেন । তিনি নানাপ্রকারে প্রজাবর্গের অভাব অভিযোগের প্রতিকার করিয়া থাকেন । যেখানেই প্ৰজার জলাভাবে কষ্ট পায়, সেই খানেই তিনি নূতন পুষ্করিণী খনন করিয়া অথবা পুরাতন