পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় শ্যামলপন দত্ত ( সলিসিটর ) AGC তৎপরে তঁহার মক্কেলকে যাবজ্জীন তাহার স্বামীত্যক্ত • বিশাল সম্পত্তির মালিক বলিয়া ডিক্ৰী লইয়া দেন । শ্যামলধন বাবু এবং মিষ্টার এন এল দে এডভোকেট-ঐ ডিক্ৰী অনুযায়ী ১৯০৮ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৯শে জানুয়ারী জাষ্টিস, ফুেচারের বিচারে মৃত গোপাললাল শীলের ত্যক্ত বিশাল সম্পত্তির রিসিভার নিযুক্ত হন এবং ঐ ষ্টেটের সম্পূৰ্ণ সুবন্দোবস্ত করিয়া ১৯০৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ৩০শে আগষ্ট তারিখে উক্ত রিসিভারের কাৰ্য্য হইতে নিজে দরখাস্ত করিয়া অবসর গ্ৰহণ করেন । এই দুই বড় মোকদ্দমায় তিনি নিজের প্রচুর অর্থব্যয়ে নিজেই মোকদ্দমা চালাইয়া। মক্কেলদের যথেষ্ট সম্পত্তি ও টাকা লাভ করাইয়া দেন । প্ৰথম জীবনে তিনি তঁাহার শ্বশুর মহাশয় ৬/জয় নারায়ণ মিত্রের ত্যক্ত র্তাহার স্ত্ৰী শ্ৰীমতী শিবসুন্দরী দাসীর প্রাপ্য ৫০ হাজার টাকা Legacy পাইয়াছিলেন। শিবসুন্দরী ১৮৯৩ খৃঃ ৭ই মার্চ স্বৰ্গারোহণ করেন, তার পর হইতে শুমলধন যোগীপুরুষের ন্যায় থাকিতেন । তঁহার যখন ১২ বৎসর বয়স, তখন তঁহার পিতা ৬/কালীচরণ দত্ত মহাশয় পাঁচটি সন্তান রাখিয়া পরলোকগমন করেন । পুত্রদিগের নাম ৬/নীলমণি দত্ত । ( শ্যামলধন বাবুর বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা ) কুমার কৃষ্ণ দত্ত, রাজচন্দ্ৰ দত্ত, বীরেশ্বর দত্ত, কৃষ্ণধন দত্ত । ( ইনি হাইকোর্টের উকিল ছিলেন ) এবং কনিষ্ঠ শ্যামলধন দত্ত । স্তার রাসবিহারী ঘোষ শ্যামলধন বাবুর সহপাঠী ছিলেন এবং উভয়ে বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল। শ্যামলধন বাবু বড় বড় মোকদ্দমায় রাসবিহারী বাবুকে নিযুক্ত করিতেন। শ্যামলধন বাবু ১৯১৭ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ভোর ৪ টার সময় তাহার ইষ্ট দেবী ৬৮কালী মাতার ছবির সাক্ষাতে র্তাহার বসতবাটা ১৬০ নং বলরাম দের স্ত্রীটের হলঘরের চেয়ারের উপর বসিয়া জপ করিতে করিতে দেহরক্ষা করেন। ডাক্তার ব্ৰাউন সাহেব তাহাকে চিকিৎসা করিতেন, তিনি বলেন যে, তিনি এমন দৃশ্য