পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R -- বংশ-পরিচয় । জন্য শিক্ষক নিযুক্ত ছিলেন । তৎপরে নওয়াব সরকার হইতে ঢাকাব্য প্রেরিত হন । সেই সময় এই অঞ্চলে পুরাতন জালালপুর ও হাবেলী পরগণার জমিদারগণের মধ্যে সীমানা লইয়া বিবাদ আরম্ভ হয়। ঢাকা হইতে আমিনগণ আসিয়া চান্দের কান্দী ও নিকটবৰ্ত্তী অন্য কয়েকটি গ্রাম জালালপুরের অন্তৰ্গত বলিয়া সীমানা নির্দেশ করিয়া দিয়া যান । ইহাতে হাবেলীর জমিদারগণ রাজী না হইয়া মুর্শিদাবাদের নওয়াবের নিকট আপীল করেন, নওয়াব সরকার হইতে স্থানীয় তদন্তের জন্য ও বিবাদ মীমাংসার জন্য মৌলবী আবদুস সামাদকে চান্দেরকান্দী পাঠান হয়, চান্দেরকান্দীর বর্তমান নাম সদরদি, উক্ত চান্দের কান্দী নুরপুরের পূৰ্ব্বদিকে মাত্র দুই মাইল দূরে অবস্থিত। মৌলবী আবদুস সামাদ নুরপুরের সম্মুখস্থ প্ৰশস্ত হালট দিয়া যাইবার সময় নুরপুরে সৈয়দ সাহেবদের ১২ দ্বাৰী কাছারী ও সুবৃহৎ বাসস্থান দেখিয়া আকৃষ্ট হন । সৈয়দ সাহেবগণ তাহাকে তাহার লোকজন সহ তাহদের বাড়ীতে অবস্থান করিতে নিমন্ত্রণ করেন, তিনি ঐখান হইতেই তঁহার তদন্তের। কাৰ্য্য সমাধা করেন । কাৰ্য্য শেষে তিনি আর ফিরিয়া গেলেন না । তঁহার সঙ্গের অন্যান্য কৰ্ম্মচারী ও লোকজনকে ঢাকা ফেরৎ পাঠাইয়া দিলেন । তিনি সৈয়দ সাহেবদের পরিবারে বিবাহ করিয়া নুরপুরে বসবাস আরম্ভ কবেন । তিনি ১২৫ বৎসর জীবিত থাকিয়া ১১৪৫ সনে ইহলোক ত্যাগ করেন । র্তাহার দুই পুত্র ছিল, মওলানা মহম্মদ শরাফৎ উল্লা ও মহম্মদ মেহেদী | মওলানা শরাফৎ উল্লার ১১৬৫ সনে মৃত্যু হয়। র্তাহার পুত্ৰ মহম্মদ খায়ের উল্লা, (মৃতু্য ১২১০ সন) । তাহার তৃতীয় পুত্ৰ মহম্মদ কলীম ! ইনি খান বাহাদুরের পিতামহ । তিনি হজ করিতে যাইয়া হাজ অন্তে ১২৭ ০ সনে পবিত্র মক্কা নগরে দেহত্যাগ করেন, তাহার সহযাত্রী হাজী মফিজদিন তাহার টাকা পয়সা ও পোষাকাদি লইয়া দেশে