পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ o বংশ-পরিচয় কার অপূৰ্ব্ব কারুকাৰ্য বক্ষে লইয়। নবগঙ্গাতীরে সেই জোড়া মন্দির এখনও শত শত দর্শকের বিস্ময় জন্মাইতেছে। র্যাহারা কখনও নীলাচলে শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের মন্দিরের অভূতপূৰ্ব্ব কারুকাৰ্য্য দর্শন করিয়াছেন, তাহারাই শুধু দেব-নারায়ণের বাটীর জোড়া মন্দিরের ধারণা করিতে পরিবেন। যদিও পুরীর মন্দিরের ন্যায় উহা উচ্চ নহে, কিন্তু খিলানের উপর অদ্ভুত কারুকাৰ্য্যে উহা প্ৰাচীন ভাস্কৰ্য্য ও স্থাপত্যের জ্বলন্ত নিদর্শন স্বরূপ বিদ্যমান রহিয়াছে। ইহা ছাড়া দেবনারায়ণের বাটীতে শিবমন্দির, কালীবাটী প্ৰভৃতি ছিল এবং এখনও উহার জীর্ণবস্থা অতীতের গৌরবোজ্জ্বল দিন স্মরণ করাইয়া দিতেছে। দেবনারায়ণের বাটতে প্ৰত্যহ অতিথিগণ অতীব সমাদরের সহিত অন্ন ব্যঞ্জন পাইতেন । এইরূপ বদান্তবর, ধৰ্ম্মপরায়ণ বংশে কৈলাসচন্দ্রের জননী বিন্দুবাসিনী দেবী জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। রায় বাহাদুরের মাতার গর্ভে প্ৰথমতঃ কোন সন্তানাদি না হওয়ায় রায় বাহাদুরের পিতা দ্বিতীয়বার উদ্বাহ সূত্রে আবদ্ধ হন । এই দ্বিতীয়বার বিবাহের পর প্রাতঃস্মরণীয় ভারতচন্দ্র শিরোমণি মহাশয় দ্বার। রায়বাহাদুরের মাতামহী একটা পুত্ৰ্যেষ্টি যজ্ঞ করেন। নিশাযোগে ভারতচন্দ্ৰ স্বপ্নাবস্থায় দুইটি পুষ্প প্ৰাপ্ত হন এবং স্বপ্নের আদেশমত সেই দুইটি ফুল রায় বাহাদুরের মাতাকে খাইতে দেন। রায় বাহাদুঘরেব মত। ত্রিংশৎ বৎসর ব:ক্রমকালে সৌদামিনী নামে একটি সৰ্ব্ব সুলক্ষণ। কন্য। প্ৰসব করেন । অতঃপর পঞ্চ ত্রিংশৎ বয়সে তিনি ক্ষণজন্ম সন্তান রাস্ত্র বাহাদুরকে প্রসব করেন। রায় বাহাদুরের বয়স যখন সবেমাত্র ৮ বৎসর তখন তাহার পিতৃবিয়োগ হয়। তাহার পিতার কোন প্রকার ভূসম্পত্তি ছিল না। পিতার মৃত্যুর এক বৎসর পবে তাহার মাতাঠাকুবাণীও স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন এবং সেই সময় হইতে রাব্য বাহাদুর মাতুলালয়ে মাতৃসমা মাসীমাতা শাকম্বরী