পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় وH হ্যায় বয়োবৃদ্ধের পক্ষে এই পুত্ৰ শোক নিতান্ত সামান্য না হইলেও, তিনি জীবনান্তে আবার সেই হারান নিধির দর্শন পাইবার প্রতীক্ষায় বসিয়া VTC22 কৈলাসচন্দ্ৰ নিদারুণ পুত্ৰশোকে কথঞ্চিৎ সান্তুনা লাভেব। আশায় পুত্রের পবিত্ৰ স্মৃতি রক্ষার্থ সর্বোৎকৃষ্ট উপায়ারূপে কলিকাতা কারমাইকেল মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে “শরচ্চন্দ্র বসু মেমোরিয়াল ওয়ার্ড” নামে টাইফয়েড জন্বরের রোগীদিগের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ বিভাগ প্ৰতিষ্ঠা করিয়া দিয়াছেন । ১৩৪২ সালের ২৯শে ভাদ্র ( ইং ১৯৩৫ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর রবিবার ) উহার উদ্বোধন হইয়া গিয়াছে । এই ওয়ার্ড হইতে শত শত বোগী রোগমুক্ত হইয়। শরচ্চন্দ্রের আমার আত্মার উদ্দেশ্যে আশীৰ্ব্বাদ বর্ষণ করিবে । শরচ্চন্দ্রের জনক জননী এই ওয়ার্ভের জন্য ৪০ হাজার টাকা দান করিয়াছেন। তাহার আয় টাইফয়েড ও মেনিনজাইটিস রোগে কাতর ১০ জন বোগীর চিকিৎসায় ব্যয়িত হইবে, বিষয়ান্তরে ব্যয়িত হইবে না । আমরা রায় বাহাদুরের এই সৎকাৰ্য্যের জন্য ভগবানের নিকট তাহার দীর্ঘজীবন কামনা করিতেছি । রায় বাহাদুরের কনিষ্ঠ পুত্রের নাম শ্ৰীমান সতীশচন্দ্ৰ বসু। তিনি বি, এল, পড়িতেছেন । রায়গ্রামের স্কুলটি উঠিয়া যাওয়ায় রায় বাহাদুর তথায় তাহার মাতৃদেবীর স্মৃতিকল্পে তাহার পবিত্র নাম কারণে “রায় গ্রাম কলাগাছি বিন্দুবাসিনী Institution” নামে একটি উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় ७zडिछे। করিয়াছেন। এই স্কুলটির স্থায়ীত্বের জন্য তিনি প্ৰভূত অর্থ সাহায্য করিতেছেন । তিনি কাশীধামের রামকৃষ্ণ মিশন হাসপাতালে তঁাহার মাতৃদেবীর নামে একটি শয্যা দান করিয়াছেন। রায় বাহাদুব নীরবে: