হরিদাস Ο Σ ο নন্দের উপর শ্ৰীচৈতন্য নগর-সঙ্কীৰ্ত্তনের ভার দিয়াছিলেন, ইহ। পূৰ্ব্বেঙ্গ বলা হইয়াছে। হরিদাসকে শ্ৰীচৈতন্য যে কতদূর মহৎ বলিয়া মনে করিতেন, তাহা একটি ঘটনা হইতেই সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হইবে । মহাপ্ৰভু একদিন শ্ৰীবাসের বাটীতে কীৰ্ত্তন করিতে করিতে ভাবে সমাধিস্থ হইয়া পড়েন। সেই সময়ে তিনি তাহার শিষ্যবৰ্গকে আপনাপন অভীষ্ট বর লাইবার জন্য আদেশ করেন । হরিদাস যবন বলিয়। সাধাদা দূরে দূরে থাকিতেন । একে একে সমস্ত শিষ্য ঈপিসত বর লইলে মহাপ্ৰভু হরি দাসের বিষয় জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলেন যে, হরিদাস সকলের পশ্চাতে আত্মগোপন করিয়া রহিয়াছেন । তাহার আদেশে হরিদাসকে মহাপ্রভূর সম্মুখে আনা হইল। মহাপ্ৰভু বলিলেন, “হরিদাস তুমি জাতিতে যাহাঙ্গ হ ও না কেন, তুমি আমার অপেক্ষা ও শ্রেষ্ঠ । যে ব্যক্তি বাজারের মধ্যে বেত্ৰাহিত হইয়াণ্ড আঘাতকারীদের কল্যাণ প্ৰাথনা করিতে পারে, সে ব্যক্তি যে কত উচ্চ, কত মহান তাহা সাধারণ মানুষে কল্পনা করিতে পারে না । তোমার ন্যায় অকপট ভক্তের সংসৰ্গ যে এক মূহুৰ্ত্তের জন্যও লাভ করিতে পারে, সে আমারই সঙ্গ লাভ করে । বাপ হরিদাস ! আমি নিত্য তোমাতেই বিরাজমান । তোমার দেহে SC DLDDLLLED BD sLCLY DD SS শ্ৰীগৌরাঙ্গের মুখে এই প্ৰকার প্রশংসাবাদ শুনিয়া হরিদাস মুচ্ছিত হইয়া পড়েন । মহাপ্ৰভু তঁাহাকে হাত ধরিয়া তুলেন । শ্ৰীশ্ৰীমতা প্ৰভু অতঃপর সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া বৃন্দাবন, দক্ষিণাত্য প্রভৃতি নানাস্থান ভ্ৰমণ করিয়া অবশেষে পুরুষোত্তমে আসিয়া স্থায়িভাবে বসবাস কবিতে লাগিলেন । নিত্যানন্দ, জগদানন্দ ও কৃষ্ণদাস সে সংবাদ প্রচার করিলেন । শান্তিপুরে অদ্বৈতাচাৰ্য্যও এ সংবাদ শ্রবণ করিলেন । তখন শ্ৰীগৌরাঙ্গের ভক্তবৃন্দ তাহাকে দর্শন করিবার জন্য পুরী ধামে
