পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

ব্ৰহ্মানন্দ ভারতী কেশব ভারতী গৌরাঙ্গ প্রভুকে সন্ন্যাসমন্ত্রে দীক্ষা দিয়াছিলেন ব্রহ্মা নন ভারতী তাহার ধৰ্ম্ম =াই : গােবিন্দ নীলাচলে আগমন করিবার পরই ব্রহ্মানন্দ প্রভুকে দর্শন করতে আসেন। সমগ্র ভারতবর্যে তিনি সাধু - পাত বকিয়া বিখ্যাত, তাহার যেমন বিরাট বপু, তেমনি অস পাণ্ডিত্য। তাহার দোষের মধ্যে তিনি ঈশ্বরের সাকারত্বে বিশ্বাসব’ নহেন, তিনি ঈশ্বরের নিরাকার রূপের ধ্যান করেন। তিনি প্রভু:ক ইতিপূর্বে কখনও দেখেন নাই, চারিদিকে প্রভুর নাম শুনিয়া এবার মাত্র তাঁহাকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। মুকুন্দ প্রভুর দ্বাররক্ষ করিতেছেন, এমন সময়ে ব্রহ্মানন্দ আসিয়া প্রভুর দর্শন প্রার্থী হইলেন : মুকুন্দ গিয়া প্রভুর নিকট ব্ৰহ্মানদের আগমন-সংবাদ জানাইলেন। প্রভু বলিলেন, “তিনি গুরু, তাহাকে কোথায় আমি দর্শন করিতে যাইব, তাহ: হইয়া তিনিই আমাকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন।” এই বলিয়: মহাপ্রভু শিষ্যগণ সমভিব্যাহারে নিজেই দ্বারদেশে ব্রহ্মানন্দ ভারতকে অভ্যর্থনা করিতে চলিলেন। ভারতী দেখেন “চতুর্দিকে ভক্তগণ মাঝে বিশ্বম্ভর। তার বেষ্টিত যেন পূর্ণ শশধর। দূর হৈতে ব্রহ্মানন্দ প্রভুকে দেখিয়া । কহিতে লাগিল। অতি বিস্ময় পাইয়া” -চন্দ্রোদয় নাটক ।