পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পয়োদার জমিদার-বংশ QQ মধ্যে “মগধের লাডু,”-ভোগই ৬/হনুমানজীর পিয়ু । ইহা প্ৰসিদ্ধ স্থান। খুব জাগ্ৰত ঠাকুর । হিন্দু মুসলমান সকলেই মানসিক, দেয় । গৌরাঙ্গাচাদের সায়ের শ্রাদ্ধের “ষাড’ জোয়ারদহের কোনও অবস্থাপন্ন মুসলমান মুন্সি সাহেব ধরিয়া লইয়া গিয়া হত্যা করিবার মতলব করে । গৌরাঙ্গচাদ স্বয়ং ‘হাতিয়ার বন্দ’ হইয়া বহুলোকজন-সঙ্গ কাবে ঐ গ্ৰাম লুণ্ঠন পূর্ববক ঐ ধৰ্ম্মের যােড় উদ্ধারি-মানসে যাত্ৰা কঝিলেন । এদিকে উক্ত মুন্সি সংবাদ পাষ্টয়া প্ৰাণ ভয়ে ষাড় তাড়াই মুখ দেয়। হামিদপুরে ঐ ষাড় পাওয়া যায় । তার পর স্থানীয় লোকের বহু চেষ্টায় লুট না করিয়া যাড় সহ বাড়ী ফিরিয়া আসিলেন । এইরূপ র্তাহ দ্বারা আরও বহু ফৌজদারী দেণ্ডবিধির আমলযোগ্য কাৰ্য্য মধ্যে মধ্যে ঘটিত । এজন্য একবার ভ্রাতুষ্পপুত্রের পরামর্শে কিছুদিন বিলসোণ পাতলিয়ার মধ্যে নৌকায় এবং পরে পনিরদিন মালাঞ্চিতে ৬/শ্যামলাল সরকারের “বারদুয়ারী” ঘবে গোপনে বাস করেন । তিনি মালাঞ্চিতে শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা ও শিব স্থাপন করেন । সেই শিব বহু পরে হৃষীকেশ ভট্টাচাৰ্য্য চুবি করিয়া পাগল হয়েনি। নাজিরপুর পরগণ! নিলাম হওয়ায় এ প্রদেশের আয় • এক কালীন খুব কম হইয়া যায় এবং সেঈ সময় রঙ্গপুর অঞ্চলে ও তত্বধধানের বিশেষ শৈথিল হওয়ায় নিজ ভ্রাতুষ্পপুত্র চৈতন্যচন্দ্রকে বয়ঃপ্রাপ্ত তই থ’ব কিঞ্চিৎ পূর্বেই সুশিক্ষা দিয়া ব্লঙ্গপুরের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাঠান । নিজে দে বসে বা লইয়াই পয়োদায় থাকেন। ভ্রাতুষ্পপুত্র স্বেচ্ছা! পূর্বক যাহা দিতেন, আৰু দ্বারাই দেবসেবা, অতিথিসেবাদি কfরসু প্ৰসাদ পা হয়। সৎসঙ্গে জীবন অতিবাহিত করিতেন । অবশেষে ৮৫ বৎসর বয়সে সজ্ঞানে ৩/গোপীনাথ জীউকে দর্শন করিতে করিতে সন্ন্যানসদৃশ ব্যাধি আশ্রয়ে স্বস্থানে প্রয়াণ করেন । সুস্থ শরীরে মধ্যাহ্নে প্ৰসাদ পাইয়া নিদ্রা গেলেন। দুই ঘণ্টা পর ভ্রাতুষ্পপুত্রকে ডাকিয়া বললেন,