R 8 ફૂગ-ટ્રિઝી সন্দেহ থাকিল না । তিনি শ্ৰীচৈতন্যের পাদপদ্ম ধারণ করিয়া ক্ৰন্দন <t রিতে লাগিলেন। মহাপ্ৰভু তেঁাহাকে হাত ধরিয়া তুলিলেন। কয়েক দিন সার্বভৌমের ঘরে বাস করিবার পর মহা প্ৰভু সমুদ্রের উপকূলে আসিয়া অবস্থান করিতে লাগিলেন । সম্মুখে নীল বারিধি, তাহাতে উৰ্ম্মির উপর উৰ্ম্মিমালা। মহা প্রভুর মন-প্ৰাণ কি এই অনন্তের পথ-যাত্রী অনন্ত সমুদ্রদর্শনে স্থির থাকিতে পারে ? তিনি দিনরাত ভক্তগণ সহ কেবল নৃত্য করিতে লাগিলেন। তঁহার পরম ভক্ত গদাধর সর্বদাই তাহার নিকট থাকেন। সার্বভৌম ইতিপূর্বেই শ্ৰীচৈতন্যের বিচারে পরাজিত হইয়া তাহার শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । তদর্শনে নীলাচলের বহু লোক তঁহার প্রদর্শিত ভক্তি মার্গের অনুযায়ী হইয়াছিল । কিছুদিন নীলাচলে অবস্থান করিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গ দক্ষিণদিকাভিমুখে রওনা ३३८लन । সমুদ্রের বেলাভূমি দিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গ নামকীৰ্ত্তন করিতে করিতে :শষ্যগণ সমভিব্যাহারে আলালনাথে উপস্থিত হইলেন। পথি পার্শ্বস্থ সকলে এই নবীন সন্ন্যাসীর অপরূপ রূপ-দর্শনে বিমোহিত হইল । আলালনাথ হইতে র্তাহার অপরাপর শিষ্যগণ পুরুষোত্তমে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন, একজনকে মাত্র সঙ্গে লইয়া ভগবানাবা তার শ্ৰীগৌরাঙ্গ দক্ষিণ দেশাভিমুখে প্ৰস্থান করিলেন । অতঃপর তিনি গোদাবরীতীরে উপস্থিত হইলেন । এইখানে ধনী ও ঐশ্বৰ্য্যশালী রামানন্দ রায়ের সহিত তাহার সাক্ষাৎকার হয়। রামানন্দের কথা সাৰ্ব্বভৌম ইতিপূর্বেই তাহাকে বলিয়া দিয়াছিলেন । শ্ৰীচৈতন্যকে দেখিয়া রায় রামানন্দ দোলা হইতে অবতরণ করিলেন। উভয়ে উভয়ের সাক্ষাৎ হইবামাত্র যেন কতকালের পরিচয়-এইভাবে উভয়কে আলিঙ্গন করিলেন । রামানন্দের সনির্বন্ধ অনুরোধে শ্ৰীগৌরাঙ্গ তাহার আতিথ্য গ্ৰহণ করিলেন
