পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের ধৰ্ম্মশিক্ষা సెటి ১৮৮১ সালে পিতৃদেবের মৃত্যু হয়। উহার মাস কয়েক পরে সঞ্জীবচক্সের “বঙ্গদর্শনে "আনন্দমঠ প্রকাশিত হইতে থাকে। ১৮৮২ সালে “Statesman” সংবাদপত্রে হিন্দু-ধৰ্ম্ম zEl Rey. Dr. Hastie সাহেবের সহিত বঙ্কিমচন্দ্রের মসীযুদ্ধ হয়। ১৮৮৩ সালে বঙ্গদর্শনে "দেবীচৌধুরাণী” বাহির হয়। ১৮৮৪ সালে "নবজীবনের প্রথম সংখ্যায় ধৰ্ম্মতত্ব” প্রবন্ধাবলীর প্রকাশ আরম্ভ হয়। ইহার পর ১৮৮৫ সালে পণ্ডিত শশধর তর্কচূড়ামণির বক্তৃত৷ আরম্ভ হয়। এখন পাঠক মহাশয়ের বলুন দেখি, তর্কচূড়ামণি মহাশয়ের বক্তৃতায় বঙ্কিমচন্দ্রের মন হিন্দুধৰ্ম্মের দিকে আকৃষ্ট হইয়াছিল কি ? বঙ্কিম সম্বন্ধে পণ্ডিতরাজ আর একটি কথা লিখিয়াছেন, তাছাও অমূলক। যথা –“সত্য মিথ্যা জানি না, স্বৰ্গীয় ভূধর চট্টোপাধ্যায়ের মুখে শুনিয়াছি, শেষ জীবনে নাকি বঙ্কিমচন্দ্র জপের মালা গ্রহণ করিয়াছিলেন।” আমি যত দূর জানি, বঙ্কিমচন্দ্র জাপক ছিলেন বটে, কিন্তু জপের মালা ঘুরাইয়া জপ করিতেন না। আমাদের পিতৃদেবও জাপক ছিলেন, তিনিও কখনও জপের মালা গ্রহণ করেন নাই। বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পূৰ্ব্বে প্রায় চারি বৎসর আমি আলিপুরে বদলীহইয়। র্তাহার নিকটেই ছিলাম , কই, কখনও ত জপের মালা ঘুরাইতে র্তাহাকে দেখি নাই। পণ্ডিতরাজ যাদবেশ্বর আমাদের পিতৃদেবের সম্বন্ধে একটি ঘটনা লিখিয়াছেন, তাহ এরূপ শ্রদ্ধার সহিত লিখিয়াছেন যে, উহা আমি الدم.