পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

))● বঙ্কিম-প্রসঙ্গ মাতৃভাষায় লিখিতে, বাঙ্গাল সাহিত্যের পুষ্টিসাধন করিতে তিনি অনেককেই উৎসাহিত করিতেন। আমি কখনও বাঙ্গলা ভাষা ও সাহিত্য ঘৃণা করি নাই। তথন চারিদিকে মাতৃভাষার নিন্দ গুনিতাম, স্কুলেও উহা ভাল করিয়া শেখান হইত না । কিন্তু আমি লুকাইয়া বাঙ্গালায় প্রবন্ধ লিখিতাম। লিথিয় লুকাইয়। রাথিতাম— কাহাঁকেও দেখাইতাম না। বঙ্কিমবাবু যখন যোড়াঘাটের বাড়ীতে ছিলেন, তখন বাঙ্গাল লিখিবার জন্ত আমায় বড়ই পীড়াপীড়ি করিয়াছিলেন। আমি বলিয়াছিলাম—‘ভয় করে, বানান ভুল করিয়া হাস্যাম্পদ হইব ? তিনি হাসিয়া বলিয়াছিলেন —“বঙ্গদর্শন প্রেসে এক জন পণ্ডিত আছেন, তিনি বানান ঠিক করিয়া দেন।” বঙ্কিমবাবুর ঘোড়াঘাটের বাড়ীতে আমি হরপ্রসাদকে প্রথম বন্ধুস্বরূপ পাই। হরপ্রসাদের বাড়ী নৈহাটতে। তিনি সৰ্ব্বদাই গঙ্গা পার হইয়া বঙ্কিমচন্দ্রের বাসায় যাইতেন। তাহাকে বঙ্কিমচন্দ্রের পরমভক্ত দেখিতাম, বঙ্কিমচন্দ্রও র্তাহাকে অতিশয় ভালবাসিতেন, তাহার বুদ্ধি ও বিদ্যার প্রশংসা করিতেন, এবং তাছাকে বাঙ্গালী সাহিত্যের সেবায়ু উৎসাহিত ও নিয়োজিত করিতেন। আলিপুরে বদলী হইলে বঙ্কিমবাবু কলিকাতায় বাসা করিয়াছিলেন। তখন প্রত্যেক ছুটীর দিন বৈকালে ৮রাজকৃষ্ণ মুখেপাধ্যায়, এবং আমি তাহার বাড়ীতে যাইতাম। নানাশাস্ত্রজ্ঞ, গম্ভীরপ্রকৃতি,বালকবৎসরলতা-শোভিত রাজকৃষ্ণকে বঙ্কিমবাবু যেমন ভালবাসিতেন, তেমনই ভক্তি করিতেন। রাজকৃষ্ণের মৃত্যুর দিন বঙ্কিমচন্দ্র বিহ্বল হইয় পড়িয়াছিলেন। বঙ্কিমচন্ত্রের কলিকাতার