পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दक्ष्मिष्ठ কাটালপাড়ায় እ¢ ዓ শাব্দিক হইলেও শিরোমণি মহাশয়ের কাব্য বুজিবুর ক্ষমতা খুব ছিল। আমি তাহার নিকট মুগ্ধবোধ ব্যাকরণের শেষ অংশ ও জয়কৃষ্ণের সারমঞ্জরী পড়িয়াছিলাম। তাহার পর তিনি আমাকে নৈষধ পড়াইতে আরম্ভ করেন। নৈষধ পড়িতে গিয়া কাব্যাংশই তিনি বুঝাইতে চান, ব্যাকরণ বা দর্শনের দিকে তিনি ফিরিয়াও চান না। সেকালের টোলের পণ্ডিতেরা অলঙ্কার খুব কমই পড়িতেন। যদি বা দুই এক জন পড়িতেন, তাহার কাব্যপ্রকাশের জগদীশ তর্কালঙ্কারের টীকা পড়িতেন, এবং দ্যায়শাস্ত্রের কচ কচি লইয়াই থাকিতেন। সেকালে লোকে যে সকল ইংরাজী কাব্য পড়িত, সে সকলই বঙ্কিমবাবুর পড়া ছিল। বাঙ্গালায় তিনি কীৰ্ত্তনের বড় অনুরাগী ছিলেন। একবার শুনিয়াছি, কীৰ্ত্তনওয়ালাকে পেলা দিতে দিতে তিনি বঙ্গদর্শনের তহবিল খালি করিয়া দিয়াছিলেন । গানের উপর তাহার বেশ ঝেণক ছিল । তিনি কয়েক বৎসর ধরিয়া যদুভট্টের নিকট গান শিখিতেন, একটি হারমোনিয়মও কিনিয়াছিলেন। বসিয়া বসিয়া তিনি তাহ বাজাইতেছেন, ইহাও দেখিয়াছি ; কিন্তু তাহাকে দলনী বেগমের দ্যায় গুনগুন করিয়া ছাড়া গল ছাড়িয়া গাহিতে কখনও শুনি নাই। তিনি বাল্যকালে কবিতা লিখিতেন। বাল্যকালের কবিতাগুলি তিনি একত্র করিয়া ছাপাইয়াও ছিলেন। কিন্তু বয়স হইলে তিনি লেখা একরকম ছাড়িয়াই দিয়াছিলেন। কাব্যের চেয়েওঁ ইতিহাসেই তাহার বেশী সখ ছিল। ইউরোপের ইতিহাস তিনি খুব পড়িয়াছিলেন। তিনি সৰ্ব্বদাই