পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমবাবুর প্রসঙ্গ ' ᎼbrᎼ বললেন, তার শরীরে এমন বল নাই যে দশ সের জিনিস তুলিতে পারেন, অথচ অতিশয় অধিক আহার করিয়া থাকেন। হুগলীতে অবস্থানকালে বাবু জগদীশনাথ রায়, অক্ষয়চন্দ্র সরকার প্রভৃতির সঙ্গে দুইদিন কিরূপ ভায়ানক আহার করিয়াছিলেন, সে গল্প করিলেন। আপাততঃ তত বেশী খাইতে পারিতেছেন না বটে, কিন্তু যাজপুরে থাকিতে তিনি দুই বেলায় চারটি মুরগী, আটটা ডিম ও আর আর জিনিস প্রত্যহ থাইতেন। চারটে মুরগীর কথা শুনিয়া আমি একটু আশ্চর্য হইলে বলিলেন, “তাহ এখনও পারি।” বলিলেন, “মানসিক শ্রমটা বড় করিতে হয়, এত না খেলে চলে না ।” জিজ্ঞাসা করিলাম “যৌবনাবস্থায় কি এমন আহার করিতে পারিতেন?” উ—“ন, এখন পারি।” কায় কথায়! আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, তার কোন পুস্তক তার মতে বেশী দিন টে কিবে? উত্তর—“বলা বড় শক্ত, বোধ হয় 'কৃষ্ণকান্তের উইল’ ” প্রশ্ন—"বিষবৃক্ষ কত দিনের লেখা?” উত্তর—“১৮৭২ সালের। যাজপুরে দেবী চৌধুরাণী লিখেছি।” প্রশ্ন—“তা কি শেষ হয়েছে?” উত্তর—“না এখনও হয় নাই।” প্রশ্ন—“আচ্ছ আপনি ত অনেক চরিত্র লিখেছেন, দীনবন্ধু বাবুর নিজের চিত্রিত চরিত্রগুলির অধিকাংশ জীবিত বা মৃত—আপনিই লিখেছিলেন, আপনার চরিত্রগুলি কি তেমন ?” উত্তর—“সেই রকম বটে, কিন্তু তার উপর অবশু রং ফলান।” আষাঢ় মাসের শেষাশেষি একদিনকার কথা । শনিবার, প্রায় পাঁচটার সময় বমি বাবুর কলুটােলার বাসায় গেলাম। রাখালের