পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিমবাবুর প্রসঙ্গ ^^ు বেগে দ্বার ঠেলিতে লাগিল। “কেরে ? কেরে ?” কুরিয়া বমি বাৰু চীৎকার করিলেন। উত্তর নাই। চাকরেরা আসিয়া খুজিয়া দেখিল, কেহ কোথাও নাই। সেই হইতে মস্তিষ্কের পীড়ার স্বত্র। পরদিন কাছারীতে লিখিতে লিখিতে মূচ্ছিত হইয় পড়েন । “প্রতিনিধি” নামক সংবাদপত্রে আমি “কুন্দনন্দিনী” চরিত্রের সমালোচনা করিয়াছিলাম। বঙ্কিমবাবু পড়িয়া বলিয়াছিলেন, সামান্ত চরিত্র, তার অত বিশ্লেষণের দরকার ছিল না। আমি বলিলাম, “এক বিষয়ে চরিত্রটা আমার কাছে অসামান্ত বলিয়৷ বোধ হয়—উহার নিশ্চেষ্ট সরলতা। কোথাও আর অমন চিত্র দেখি নাই।” বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “আমি তিলোত্তমার চরিত্রেও একটু তাহা দেখাইয়াছি।” আমি বলিলাম, “কুনে তাহার বিকাশ অনেক বেশী।” আমি বলিলাম, “আমার বোধ হয় যেন আপনার নাট্য-স্বষ্টির শক্তি এখন বাড়িতেছে।" বঙ্কিমবাবু—“হা, দেখিয়াছি, সে কথা সে দিন তুমি কুন্দচরিত্রের শেষে লিথিয়াছ। চন্দ্রবাবুও তাই বলেন, আমার নিজেরও তাই বোধ হয়। মৃণালিনীর নূতন সংস্করণ আগাগোড়া প্রায় নাটক। থিয়েটারে আমার বইয়ের যে দুর্দশ করা হইয়াছে, তাহ দেখিয়া ওরূপ করিতে আমার ইচ্ছা হয়েছিল।" আমি বলিলাম, “এইবার কেন একবার নাটক লিখিতে চেষ্টা করুন না ?” উত্তর—“লিখিব কার জন্ত ? তেমন শ্রোতা নাই, অভিনেতা নাই, তার পর নাটকের ভাষা এখনও হয় নাই।" বলিলাম, "আপনার কাজ আপনি করিয়া যান, পরে লোকে বুঝিবে।” সন্মত হইলেন, নাটক লিখিতে চেষ্টা করবেন। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম