পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ই ১২ বঙ্কিম প্রসঙ্গ চিড়া, লবণ, কয়েক পিপ সর্ষপ তৈল ও কয়েক থান পরিধেয় বস্ত্র প্রভৃতি দ্রব্যজাত সঙ্গে আমাকে লোকের অন্নাভাব ও পরিধেয়কষ্ট দূর করিবার জন্য মন্ত্রেশ্বর নদের (হুগলী নদীর ) পার্শ্ববর্তী টেঙ্গরাবিচি গ্রামের সন্নিহিত গঙ্গাধরপুরে পাঠান। দ্রব্যজাতরক্ষার জন্য আমার সঙ্গে এক জন বন্দুকধারী পুলিস-কন্‌ষ্টেবলও প্রেরিত হয়। গঙ্গাধরপুরে যাইবার সময় পথে দেখিলাম, বহুসংখ্যক শবদেহ খালে, বিলে, ধান্তক্ষেত্রে ভাসিতেছে, এবং পথের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মধ্যে ও বনে জঙ্গলে, বৃক্ষোপরি ও ভূমিতলে ইতস্ততঃ পড়িয়া রহিয়াছে, এবং চতুর্দিকে মরকের দুর্গন্ধ বিস্তার করিতেছে। আমি যৎপরোনাস্তি কষ্টে সেই শবরাশি ও তম্লিংস্থত। পুতি-গন্ধ-দূষিত বায়ুবাশি ভেদ করিয়া সমস্ত দিবারাত্রির পর গন্তব্যস্থান গঙ্গাধরপুরে উপস্থিত হইলাম। তখন বেলা সাতটা আটটা। আমি সেখানে উপস্থিত হইবামাত্র দুই তিন শত অন্নবস্তুক্লিষ্ট লোক আমার দ্রব্যজাত আক্রমণ ও লুণ্ঠন করিতে আসিল। এই সমস্ত দ্রব্যাদি আমি তাহাদিগকে বণ্টন করিয়া দিবার জন্য আসিয়াছি, বন্টনাস্তেই চলিয়। যাইব, এই কথায় তাহারা প্ৰবোধিত ও স্থির হইতে পারিল না। আমি তখন পুলিসের বন্দুকটা লইয়া একটা ডোঙ্গার উপর উঠিয়া দাড়াইলাম, এবং বলিলাম, “যে কেহ আমার ডোঙ্গ স্পর্শ করিতে সাহস করিবে, আমি তৎক্ষণাৎ তাহার প্রাপ্ত লইব।” ইহাতে তাহারা কিছু ভীত হইয়া অগত্য আমার বন্টন প্রস্তাবে সম্বত হইল। আমি তিন চাৰি দিন সেখানে থাকিয় খাজত্বব্যাদি সপ্তাহের ব্যয়েরমত প্রত্যেক পরিবারকে বষ্টন ক্ষঞ্জি