পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ১৩ এবং কল্পনাকুহকে সমাচ্ছন্ন করিয়া তুলিতেন, এবং নিজের বিশ্বাস ও ভাষাকে যথাসাধ্য টানিয়া বুনিয়া আশে পাশে দীর্ঘ করিয়া অধিক পরিমাণ লোককে আপন মতের জালে আকর্ষণ করিতে চেষ্টা করিতেন । বস্তুত আমাদের শাস্ত্র হইতে ইতিহাস-উদ্ধারের দুরূহ ভার কেবল বঙ্কিম লইতে পারিতেন ! একদিকে হিন্দুশাস্ত্রের প্রকৃত মৰ্ম্মগ্রহণে যুরোপীয়গণের অক্ষমতা, অন্যদিকে শাস্ত্রগত প্রমাণের নিরপেক্ষ বিচার সম্বন্ধে হিন্দুদিগের সঙ্কোচ ; একদিকে রীতিমত পরিচয়ের অভাব, অন্তদিকে অতিপরিচয়জনিত অভ্যাস এবং সংস্কারের অন্ধতা ; যথার্থ ইতিহাসটিকে এই উভয়সঙ্কটের মাঝখান হইতে উদ্ধার করিতে হইবে। (দেশানুরাগের সাহায্যে শাস্ত্রের অন্তরে প্রবেশ করিতে হইবে এবং সত্যামুরাগের সাহায্যে তাহার অমূলক অংশ পরিত্যাগ করিতে হইবে। যে বল্লার ইঙ্গিতে লেখনীকে বেগ দিতে হইবে, সেই , বল্লার আকর্ষণে তাহাকে সৰ্ব্বদা সংযত করিতে হইবে। এই সকল ক্ষমতাসামঞ্জস্ত বঙ্কিমের ছিল –সেই জন্য মৃত্যুর অনতিপূৰ্ব্বে তিনি যখন প্রাচীন বেদ পুরাণ সংগ্ৰহ করিয়া প্রস্তুত হইয়া বসিয়াছিলেন তখন বঙ্গসাহিত্যের বড় আশার কারণ ছিল, কিন্তু মৃত্যু সে আশা সফল হইতে দিল না, এবং আমাদের ভাগ্যে যাহা অসম্পন্ন রছিয়া গেল তাহ যে কবে সমাধা হইবে কেহই বলিতে পারে না। ধঙ্কিম এই যে সৰ্ব্বপ্রকার আতিশয্য এবং অসঙ্গতি হইতে আপনাঞ্চে রক্ষা করিয়া গিয়াছেন ইহা তীখার প্রতিভার প্রকৃতিগত। যে কেই তাহার রচনা পড়িয়াছেন সকলেই জানেন বঙ্কিম হাস্করসে