পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রয়োপবেশনের কারণ এখানে কিছু কথিত হয় নাই। যধিষ্ঠিরবাক্যে বা ঋষিগণের বাক্যে বা ভীমের তিরস্কারে, তাহা কিহু কথিত হয় নাই। পশ্চাৎ দেখিব, তিনি পরে শ্রান্ত হইয়াই নিহত হয়েনি। আসন্নমস্তৃত্যু ব্ৰাহ্মণের প্রয়োপবেশনের সেও উপযক্ত কারণ। । । (৫) পৰবৰ্তসংগ্ৰহাঞ্চায়ে কোন কথাই নাই—“দ্রোণে ব্যাধি নিপাতিতে,” এ ছাড়া আর কিছই নাই। হত গজের কথাটা সত্য হইলে, তাহার প্রসঙ্গ অবশ্যই থাকিত। অভিমন্যুর অধৰ্ম্মবন্ধে মাতুর কথা আছে-দ্ৰোণেরও অবশ্য থাকিত। গল্পটা তখনও তৈয়ার হয় নাই, এজন্য নাই। (৬) তার পর, দ্ৰোণপকেবার সপ্তম ও অস্টম অধ্যায়ে দ্ৰোণ যন্ধের সংক্ষিপ্ত বৰ্ণনা আছে। তাহাতেও এই জয়াচুরির কোন প্রসঙ্গ নাই। কেবল আছে যে, ধন্টদ্যুশন দ্রোণকে নিপাতিত করিলেন । এই অধ্যায়গালি যখন প্রণীত হয়, তখনও গলপােটা তৈয়ার হয় নাই। (৭) আশ্বমেধিক পন্ধেবী আছে যে, কৃষ্ণও দ্বারকায় প্রত্যাগমন করিলে, বসদেব কৃষ্ণের নিকট যাদ্ধবক্তান্ত শনিতে ইচ্ছা করিলেন। কৃষ্ণ তাঁহাকে যাদ্ধবক্তান্ত সংক্ষেপে শনাইলেন। দ্ৰোণষদ্ধ সর্বন্ধে কৃষ্ণ ইহাই বলিলেন যে, দ্ৰোণাচায্যে ও ধন্টদ্যুলেশন পাঁচ দিন যাদ্ধ হয়। পরিশেষে দ্ৰোণ সময়শ্রেমে -একান্ত পরিশ্রাস্ত হইয়া ধন্টদ্যুম্পািনহন্তে নিহত হইলেন। বোধ হয়, এইটুকুই সত্য; এবং যাবার সহিত যন্ধে ব্যুদ্ধের শ্রান্তিই দ্রোণের যন্ধবিরতির যথাৰ্থ কারণ। আর সকলই কবিকলপনা বা উপন্যাস। নিতান্তই যে উপন্যাস, তাহার সাত রকম প্রমাণ দিলাম। কিন্তু সেই উপন্যাস মধ্যে, কৃষ্ণকে মিথ্যা প্রবঞ্চনার প্রবত্তাক বলিয়া স্থাপিত করিবার কারণ কি ?’ কারণ পকেব। বাবাইয়াছি। বাবাইয়াছি যে, যেমন জ্ঞান ঈশ্বরদত্ত, অজ্ঞান বা ভ্ৰান্তিও তাই। জয়দ্রথবাধে কবি তাহা দেখাইয়াছেন। ভ্ৰান্তিও ঈশ্বরপ্রেরিত । ঘটোৎকচবধে কবি দেখাইয়াছেন যে, যেমন বদ্ধি ঈশ্বরপ্রেরিত, দৰব বুদ্ধিও ঈশ্বরপ্রেরিত। আরও বাকাইয়াছি যে, যেমন সত্যও ঈশ্বরের, অসত্যও তেমনই ঈশ্বরের। এই দ্ৰোণবধে কবি তাহাই দেখাইলেন। ইহার পর, নারায়ণাস্ত্র মোক্ষ-পক্ষবাধ্যায়। সংক্ষেপে তাহার উল্লেখ করিয়াছি। বিস্তারিতের প্রয়োজন নাই, কেন না, নারায়শাস্ত্র বক্তান্তটা অনৈসঙ্গিক, সতরাং পরিত্যাজ্য। তবে এই পৰবাধ্যায়ে একটা রহস্যের কথা আছে। দ্রোণ নিহত হইলে অঙ্গজনি গােরর জন্য শোকে অত্যন্ত কাতর। মিথ্যা কথা বলিয়া গরিবদ্ধসাধনজন্য তিনি যধিস্ঠিরকে খােব তিরস্কার করিলেন, এবং ধন্টদ্যুম্পোিনর নিন্দা করিলেন। যধিষ্ঠির ভাল মানষি, কিছ উত্তর করিলেন না, কিন্তু ভীম অজ্ঞজনকে কড়া রকম কিছ শনাইলেন। ধন্টদ্যুশন অজ্ঞজনকে আরও কড়া রকম শনাইলেন। তখন অজ্ঞজনেশিষ্য যদ্যবংশীয় সাত্যকি, অজ্ঞজনের পক্ষ হইয়া ধন্টদ্যুম্পনকে ভারি রকম গালিগালাজ দিলেন। খািণ্টদ্যুম্বন সদ সমেত ফিরাইয়া দিলেন। তখন দাই জনে পরস্পরের বধে উদ্যত। কৃষ্ণের ইঙ্গিতে ভীম ও সহদেব থামাইয়া দিলেন। বিবাদটা এই যে, মিথ্যা কথা বলিয়া দ্রোণের মাতৃসাধন করা কীৰ্ত্তব্য ও অকৰ্ত্তব্য কি না, এই তত্ত্ব লইয়া দই পক্ষে যত কথা আছে, সব বলিলেন, কিন্তু কেহই কৃষ্ণকে ভাল মন্দ কিছই বললেন না। কেহই বলিলেন না যে, কৃষ্ণের কথায় এরূপ হইয়াছে। কৃষ্ণের নামও কেহ করিলেন না। পাঁচ হাতের কাজ না হইলে এমন ঘটে না'। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ-কৃষ্ণকথিত ধৰ্ম্মতত্ত্ব যিনি অশ্বথামাবদ্ধসংবাদ-বত্তান্ত রচনা করিয়াছেন, তিনি অলজনকে বড় উচ্চ স্থানে স্থাপিত করিয়াছেন। কৃষ্ণ, যধিষ্ঠির ও ভীমের অপেক্ষা তাঁহার ধাৰ্ম্মিকতা অনেক বেশী, এইরূপ পরিচয় দিয়াছেন। যাহার প্রাপ্তােবকৰ্ত্ত কৃষ্ণ, এবং যাহা পরিশেষে ভীম ও যাধিঠির সম্পাদিত করলেন, সে মিথ্যা কথা বলিয়া অজািন তাঁহাতে কিছুতেই সম্মত হইলেন না; বরং তত্তজনা যধিষ্ঠিরকে যথেস্ট তৎসনা করিলেন। কিন্তু এক্ষণে যে বিবরণে আমাকে প্রবত্ত হইতে হইতেছে, LB TEB DD BDB D SS STBiDS DDD DLuBBuDBS BBBD gB BDBuB DDD ধৰ্ম্মেপদেশ পাইয়াই সৎপথ অবলম্বন করিতেছেন। ‘বাস্তান্তটা এই - “ , , দ্রোণের পর কশৰ দৰ্য্যোধনের সেনাপতি। তাঁহার যন্ধে পান্ডবসেনা অস্থির। বিধিস্ঠির নিজ দভাগ্যবশতঃ তাঁহার সম্মািখীন হইয়াছিলেন। কুণ তাঁহাকে এরূপ সন্তুষ্ঠিত করিলেন যে, বিধিষ্ঠির ভয়ে রূপক্ষেত্র হইতে পলাইয়া গিয়া শিবিরে লঙ্কীয়ভ’ হইয়া বিছানায় শাইয়া

  • ésós