পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী কোটী দীপ কাঁচ মাঝে, কোটী তারা সবিরাজে, জবলে যেন হিরাময় বাসে। কতই কুসমে তায়, ঝলমল শোভা পায়, প্রভাময় সকলি প্রকাশে ৷ ঝকমক ঝলমল, আলো মাঝে সচণ8ল, নিত্যকীর বসন ভূষণ। ঝকমোকে বেশ ধরি, বসেছে বিরাজ করি, কবীশ্বর পাশে কবিগণ ৷ ধীরে ধীরে বীণা বাজে, ধীরে ধীরে নিশি মাঝে, মদ, মদ গায় বামাস্বরে। বিদ্যা আয় অবিদ্যাঃ, নিত্য হবে দজনার, কে ছোট কে বড় জানিবারে ৷ বিদ্যার নাচ নাচে শশিমখী, গজেশ গতি। ললনা নলিতা, লাবণ্যবতী ৷ কোমল কুস্যাম, কলিকা প্রায়। কনক ভুষণ, কনক কায় ৷ নিবিড় নিতম্ব, যৌবন ভার। হাব ভাব হেলা, কত প্রকার। হেলিয়ে দলিয়ে, নাচিছে। ঘরে। ভূযা ঝলমল, কুসম ঝরে ৷ প্রেমময় নীল, কোমল আখি । স্থির রাখিয়ছে, ধরায় রাখি ৷ বঙ্কিম নয়নে, বারেক চায়। বিদ্যুৎ সমান, তখনি যায়৷ ঝাপটার মাঝে, বদন চাঁদ। অংশে পাশে ফেবে, বসন ফাঁদ ॥ হাব ভাব কত লাবণ্যে মাখা । যেমন নাচিছে, কেমন বাঁকা ৷ ফিরিয়ে ফিরিয়ে, ফিরিয়ে ফেরে। চলিয়ে চলিয়ে, চলিয়ে ধীরে ৷ কখন কি রাপে, কোথায় আছে। সমীরে সরোজী, যেমন নাচে ৷ কিরাপ কি ভাব, কেমন ছবি। দেখে গেল গলে, যতেক কবি ৷ মন্ত্র মন্ধ সবে, আচল আখি। বিদ্যা চলে গেল, তাদের রাখি ৷ जावमाल ना5 আইল অবিদ্যা। তবে, দেখে কাঁপে বক। ঢেঙ্গা মাগী পেটমোটা, হাঁড়ি পানা মািখ৷ বরণে হাড়ির তলা, ঝক মেরে যায়। नौघ* फूल प्रौद्य* पाँऊ, जाँीफ़शान थान॥ বসন মলিন অতি, পচা গন্ধ গায়। তিনি ফের নাচিাবেন, নমস্কার পায় ৷ ধােপ ধাপ কোরে নাচে, মেঝে করে চুর। পাঁকেতে নাফান যেন, ব্যাঙ্গ বাহাদর ৷ কবিগণ হেসে মরে, বলে এ কি পাপ। পলাতে পারিলে বাঁচি, বাপ বাপ বাপ ৷ অবিদ্যার প্রতি কবিদের इश्नासिर অবিদ্যা এতেক বিদ্যা, শিখিল কোথায়। মোহিত হইয়া মোরা, জিজ্ঞাসি তোমায় ৷ পরিচয় দাও ধনি, কেন এত বিদ্যা। আ মারি সন্দরি তুমি, কাহাব অবিদ্যা ৷ অবিদ্যা “প্রবল প্রতাপশালী, অসভ্য রাজন। সসাগরা ধরা নিজে, করিল শাসন ৷ তাঁহার সখের মোরা, দই পাট রাণী। প্রথমা অবিদ্যা আমি, দ্বিতীয় দািব্বাণী ৷” পত্র এক পেয়ে মেনে, পরাণে বেচোছি। কিন্তু আগে বল সবে, কেমন নেচেছি৷ কবিগণ এম•{ সন্দিব নােচ, কভু দেখি নাই। তাই এক অভিলাষ, করেছি। সবাই ৷ সখী হ’ব পােত্র তব, দেখিবাবে পেলে । কে জানে সে কতগল, তোমার তো ছেলে ৷ কুবিদ্যা” ছেলের গণের কথা, কি কহিব আদি। রংপেতে আমারি মত, বাছা বাঁচা ভার৷ ভাল যাত্রা করে সে, যে, নিজে অধিকারি। নাচিতে গাহিতে বাছা, সাবরােপ আমারি ৷ কিন্তু আজ পারে কি না, নাহি যায় বলা। কেবল ঝাঁকড়া কোরে, ভাঙ্গিয়াছে গলা ॥ সতিনী পালিত পত্র, আছে এক ছেডিা। সেই কালামকো হলো, ঝাঁকড়ার গোড়া ৷ এক দিন তাবে দেখে, আমার তনয়। মাই ধোরে কোলে বোসে, মদ, মদ, কয় ॥ ‘ওমা ওমা হে দে দেখ, দাদার এখন । রাজ ভোগ খেয়ে দেহ, ফলেছে কেমন ৷

  • কুবিদ্যা ও অবিদ্যা এক জনেরই নাম বিবেচনা করিতে হইবে, অবিদ্যা শব্দের অন্য অর্থ আছে এজন্য তাহা ব্যবহার করা উচিত বোধ হইতেছে না, তাহার হেতু পরে জানা যাইবে।

፩ bታኪዖ