পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gaussoj প্রা। কেন, তুমিই ত সে দিন কত দান ধৰ্ম্মের কথা, কত হোমানটি মটরসটির কথা বলছিলে ? অ্যা। সে পরকে শেখাবার জন্য। প্র। ও মা, সে কি গো! আপনার বেলা লীলাখেলা পাপপণ্য পরের বেলা! আী। প্রসন্ন, কমলাকান্তের জাতিকে তুই এখনও চিনিস নাই। তা সে সব কথা যাক। পাখীটাকে ছেড়ে দে। প্রা। তা হবে না। যাকে একবার ঠাঁই দিয়েছি তাকে তাড়াতে পারব না। আা। সেটা ত তোদের জাতিরই ধৰ্ম্মম নয় ? এবার প্রসন্ন রাগিল। বলিল কি, বামণ, তুমি ধৰ্ম্মম ধৰ্ম্মম করা ? তোমার মতন দশমখা ত ভূ-ভারতে নাই। তোমার কাছে আবার মানষ আসে ? এই বলিয়া প্রসন্ন উঠিল। প্রত্যহ প্রাতে আমাকে যে দধটকু দেয় তাহা না দিয়াই চলিল। দধি চলিয়া যায় দেখিয়া আমি রাগে কাঁপিতে কাঁপিতে বলিলাম-আচ্ছা, আমিও একটা পাখী পষিব, আমার যা কিছ আছে সব তাকে দিব। প্রসন্ন ফিরিয়া দাঁড়াইয়া খাঁচাটা মাটীতে রাখিয়া দক্ষিণ হস্ত নাড়িয়া আমাকে বলিল-আচ্ছা, আমিও এই বলে যাচ্চি, যে দিন তুমি পাখীকে পোষ্যমানাতে পারবে, সেই দিন আমি আমার এই দধের কেড়ে ভেঙ্গে ফেলব। এই বলিয়া প্রসন্ন খাঁচাটা তুলিয়া লইয়া ঠিকুরে বেরিয়ে গেল। কেড়ের দধে চলকে কাপড় <fat f(\t airfoil O what a fall was there আমি ক্ষণমাত্র বিলম্ব না করিয়া পাখীর সন্ধানে বাহির হইলাম। অনেক ঘরিলাম, অনেক পাখীর দোকানো গেলাম। কোথাও মনের মতন পাখী পাইলাম না। শেষে এক দোকানো একটি পাখী মনোনীত হইল, কিন্তু তখনই দামের কথা মনে পড়িল। আমি শ্ৰীকমলাকান্ত চক্রবত্তী, আমার ত একটি পয়সাও নাই; তবে কি বলিয়া পাখী কিনিতে আসিলাম ? কিছ অবসন্ন হইলাম; কিন্তু তখনই মনে হইল যে কমলাকান্তের দেশে কয়জন সম্পবলবিশিষ্ট লোক আছে ? আর সম্পবিলহীন হইয়াও কে না বড় বড় সওদার চেষ্টায় ফিরিতেছে ? কে না বড় বড় পদ, লক্ষবা লক্ষবা খেতাবের জন্য ঘরিয়া বেড়াইতেছে ? কিন্তু তাহারা কেহই তা লতাজা, অপমান, ঘণা, কিছই অনভব করে না! তবে আমিই কেন লডিজত হই ? এইরুপ ভাবিতে ভাবিতে আসিতেছি এমন সময় একটা ককাশ শব্দ শনিতে পাইলাম। শব্দটা এইরপ- Platectud, Platcetud, Plateetud, বারবার এই অশ্রাতপািব্ব শব্দ শনিয়া কারণ জানিবার ইচ্ছা হইল। খাজিতে খাজিতে এক দরিদ্র মসলমানের বাড়ীতে আসিলাম। উকি মারিয়া দেখিলাম উঠানে এক কচ্ছহীন বীরপরিষ কতকগলা মাগনী জবাই করিতেছে-রক্তের স্রোত বহিয়া যাইতেছে। একখানা ঘরের দাবায় একটা সত্ৰীলোক পড়িয়া ছটফট করিতেছে, এবং বিষম যন্ত্রণাসচক চীৎকার করিতেছে। ঘরের চালে ডাঁড়ে বসিয়া একটা পাখী একবার সেই রক্তের স্রোত দেখিতেছে, একবার সেই সত্ৰীলোকটাকে দেখিতেছে এবং আহাদে উন্মত্ত হইয়া নিত্য করিতেছে। এক একবার সন্ত্রীলোকটাকে ঠোকরাইবার চেন্টা করিতেছে, এবং ঘরিয়া ফিরিয়া Plateetud, Piateetud করিতেছে। আমি গহস্বামীকে ডাকিলাম। গহসােবামী বাহিরে আসিলে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম-তোমার বাড়ীতে কাহার কোন পীড়া হইয়াছে ? গ-সবা। হাঁ, আমার স্ত্রীর হাঁটতে বড় একটা বেদনা হইয়াছে। আমি সেইজন্য বড় বিপাকে পড়িয়াছি। আমার বাড়ীতে আজ দশজন লোক খাবে, আর এই বিপদ।। আা। আমি একটা ঔষধ দিতেছি; জলে গলিয়া হাঁটতে মালিশ করিয়া দেও, শীঘ্র আরাম হইবে। কিন্তু আমাকে কি দিবে? গ-সবা। আপনি কি চান ? অ্যা। ঐ পাখীটা। গ-সবা। এখনি লইয়া যান। ওটাকে আমি খাব যত্ন করিয়া আনিয়াছিলাম, কিন্তু মহাশয়, মুদ্রগু, আমার ছেলেপিলোেক সুক্ষরে করে মারিয়া ফেলিতেছে। আপনি এখনই धा या । তখন আমি বিষম গোলে পড়িলাম। আফিঙ্গ দিই কেমন করিয়া ? যে আফিঙ্গ দেবাসরে SOS