পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बष्किन्न ब्राक्रमाबढौं সেকেন্ডে ৩৮০ মাইল গমন করে, তাহা মাধ্যাকৰ্ষণী শক্তি এবং বায়বীয় প্রতিবন্ধকতার বল অতিক্ৰম করিয়া যায়। অতএব উপরিবর্ণিত বেগবান উৎক্ষিপ্ত পদাৰ্থ, আর সৰ্য্যেলোকে ফিরিয়া আইসে না। সতরাং প্রফেসর ইয়ঙৰ যে সৌরোৎপাত দলিট করিয়াছিলেন, তদ্যুৎক্ষিপ্ত পদার্থ আর সৰ্য্যেলোকে ফিরে নাই। তাহা অনন্তকাল অনন্ত আকাশে বিচরণ করিয়া ধমকেতু বা অন্য কোন খেচররাপে পরিগণিত হইবে কি, কি হইবে, তাহা কে বলিতে পারে! প্রক্টর সাহেব সিদ্ধান্ত করেন যে, উৎক্ষিপ্ত বস্তু লক্ষ ক্রোশ পৰ্য্যন্ত দণ্টিগোচর হইয়াছিল বটে, কিন্তু অদশ্যভাবে যে তদধিক দীর উদ্ধবগত হয় নাই, এমত নহে। যতক্ষণ উহা উত্তপ্ত এবং আর তাহা দেখা যায় নাই। তিনি স্থির করিয়াছেন যে, উহা সাদ্ধ তিন লক্ষ মাইল উঠিয়াছিল। অতএব এই সৌরোৎপাতনিক্ষিপ্ত পদাৰ্থ অদ্ভুত বটে—লক্ষযোজনব্যাপী মনোগতি, এক নতন সন্টির আদি। उयादा6s कएङ @ाक्री 7ा6छ ? ঐ যে নীল নৈশ নভোমন্ডলে অসংখ্য বিন্দ, জাবলিতেছে, ওগলি কি ? ওগলি তারা। তারা কি ? প্রশন জিজ্ঞাসা করিলে পাঠশালার ছাত্র মাত্রেই তৎক্ষণাৎ বলিবে যে, তারা সব সােয্য। সব সৰ্য্যে! সৰ্য্যে ত দেখিতে পাই বিশ্বদােহকর, প্রচন্ডকিরণমালার আকর; তৎপ্রতি দন্টিনিক্ষেপ করিবারও মনষ্যের শক্তি নাই; কিন্তু তারা সব ত বিন্দ মাত্র; অধিকাংশ তারাই নয়নগোচর হইয়া উঠে না। এমন বিসদশের মধ্যে সাদশ্যে কোথায় ? কোন প্রমাণের উপর নিভাির করিয়া বলিব যে, এগলি সায্য ? এ কথার উত্তর পাঠশালার ছাত্রের দেয় নহে। এবং যাঁহারা আধনিক ইউরোপীয় বিজ্ঞানশাস্ত্রের প্রতি বিশেষ মনোযোগ করেন নাই, তাঁহারা এই কথাই অকস্মাৎ জিজ্ঞাসা করিবেন। তাঁহাদিগকে আমরা এক্ষণে ইহাই বলিতে পারি যে, এ কথা অলঙ্ঘ্য প্রমাণের দ্বারা নিশ্চিত হইয়াছে। সেই প্রমাণ কি, তাহা বিবত করা এস্থলে আমাদিগের উদ্দেশ্য নহে। যাঁহারা ইউরোপীয় জ্যোতিবিদ্যার সম্যক আলোচনা করিয়াছেন, তাঁহাদের পক্ষে সেই প্রমাণ এখানে বিবত করা নিম্প্রয়োজন। যাঁহারা জ্যোতিষ সম্যক অধ্যয়ন করেন নাই, তাঁহাদের পক্ষে সেই প্রমাণ বোধগম্য করা অতি দরহে ব্যাপার। বিশেষ দাইটি কঠিন কথা তাঁহাদিগকে বঝাইতে হইবে; প্রথমতঃ কি প্রকারে নভঃস্থ জ্যোতিলোেকর দািরতা পরিমিত হয়; দ্বিতীয় আলোক-পরীক্ষক নামক আশ্চৰ্য্য যন্ত্র কি প্রকার, এবং কি প্রকারে ব্যবহৃত হয়। সতরাং সে বিষয়ে আমরা প্রবত্ত হইলাম না। সন্দিহান পাঠকগণের প্রতি আমাদিগের রোধ, তাঁহারা ইউরোপীয় বিজ্ঞানের উপর বিশ্বাস করিয়া বিবেচনা করন যে, এই আলোকবিন্দগলি সকলই সৌর প্রকৃত। কেবল আত্যন্তিক দারতাবশতঃ আলোকবিন্দবৎ দেখায়। এখন কত সক্ষ্য এই জগতে আছে ? এই প্রশেনর উত্তর প্রদান করাই এখানে আমাদিগের উদ্দেশ্য। আমরা পরিস্কার চন্দ্রবিষাক্তা নিশীথে নিৰ্ম্মল নিরক্ষািবদ আকাশমন্ডল প্রতি দাল্টিপাত করিয়া দেখিতে পাই যে, আকাশে নক্ষত্ৰ যেন আর ধরে না। আমরা বলি, নক্ষত্র অসংখ্য। বাস্তবিক কি নক্ষত্র অসংখ্য ? বাস্তবিক শােধ চক্ষে আমরা যে নক্ষত্ৰ দেখিতে পাই, তাহা কি গণিয়া সংখ্যা করা যায় না ? ইহা অতি সহজ কথা। যে কেহ অধ্যবসায়ারড়ে হইয়া স্থিরচিত্তে গণিতে প্রবত্ত হইবেন, তিনিই সফল হইবেন । বস্তুতঃ দরবীক্ষণ ব্যতীত যে তারাগলি দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা অসংখ্য নহে-সংখ্যা এমন অধিকও নহে! তবে তারা সকল যে অসংখ্য বোধ হয়, তাহা উহার দশ্যতঃ বিশঙ্খলতাজন্য মাত্র। যাহা শ্রেণীবদ্ধ এবং বিন্যস্ত, তাহা অপেক্ষা যাহা শ্রেণীবদ্ধ নহে এবং অবিন্যস্ত, তাহা সংখ্যায় অধিক বোধ হয়। তারাসকল আকাশে শ্রেণীবদ্ধ এবং বিন্যস্ত নহে বলিয়াই আশ অসংখ্য বলিয়া বোধ হয়। বস্তুতঃ যত তারা দরবীক্ষণ ব্যতীত দণ্টিগোচর হয়, তাহা ইউরোপীয় জ্যোতিবিদগণ কত্ত্বক পািনঃ পানঃ গণিত হইয়াছে। বলিন নগরে যত তারা ঐরাপে দেখা যায়, অগোিলন্দর তাহার সংখ্যা করিয়া তালিকা প্রকাশ করিয়াছেন। সেই তালিকায় ৩২৫৬টি মাত্র তারা আছে। NS 20 NR