পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबिध अबक-नारथप्रधन স্মরণে নাই, ইহাতে এমত, প্রমাণ হইতেছে না যে, প্রলয়পর্বে বেদ প্রণীত হয় নাই। আর ইহাও তোমরা প্রমাণ করিতে পরিবে না যে, বেদকত্তা কাহা কত্ত্বক কখন সন্মত ছিলেন না। নৈয়ায়িকেরা আরও বলেন যে, বেদবাক্যসকল, যেমন কালিদাসাদিবাক্য, তেমনি বাক্য, অতএব বেদবাক্যও পৌরষেয় বাক্য। বাক্যত্বহেতু, মন্দবাদির বাক্যের ন্যায়, বেদবাক্যকেও পৌরষেয় বলিতে হইবে। আর মীমাংসকেরা বলিয়া থাকেন যে, যেই বেদাধ্যয়ন করে, তাহার পকেব তাহার গরে অধ্যয়ন করিয়াছিলেন, তাঁহার পর্বে তাঁহার গর অধ্যয়ন করিয়াছিলেন, তাঁহার পকেব। তাঁহার গাের; এইরপ যেখানে অনন্ত পারমপৰ্য্য আছে, সেখানে বেদ অন্যাদি। নৈয়ায়িক বলেন যে, মহাভারতাদি সম্পবন্ধেও ঐরােপ বলা যাইতে পারে। যদি বল যে, মহাভারতের কত্তা যে বাস, ইহা সময্যমান, তবে বেদ সম্পবন্ধেও বলা যাইতে পারে যে, “ঋচঃ সামানি যজ্ঞিরে। ছন্দাংসি যজ্ঞিরে তস্মাৎ যজস্তস্মাদজায়াত।” ইতি পরিষসক্তে বেদকত্তাও নিদিষ্ট আছেন। আর মীমাংসকেবা বলেন যে, শব্দ নিত্য, এজন্য বেদ নিত্য। কিন্তু শব্দ নিত্য নহে; কেন না, শব্দসামান্যত্বাবশতঃ ঘটাবৎ অসামদাদির বাহেন্দ্রিয়গ্রাহ্য। মীমাংসকেরা উত্তর করেন যে, গকারাদির শবদ শনিতে পাইলেই আমাদিগের প্রত্যাভিজ্ঞান জন্মে যে, ইহা গকার, অতএব শবদ নিত্য। নৈয়ায়িক বলেন যে, সে প্রত্যভিজ্ঞান সামান্য বিষয়বশতঃ, যেমন ছিন্ন, তৎপরে পানভজাত কেশ, এবং দলিত কন্দ। মীমাংসকেরা আরও বলিয়া থাকেন যে, বেদ অপৌরষেয়, তাহার এক কারণ rয, পরমেশ্বর অশরীরী, তাঁহার তালব্যাদি। বণের্বাচ্চারণ-স্থান নাই। নৈয়ায়িকেরা উত্তর করেন যে, পরমেশ্বর সর্বভাবতঃ অশরীরী হইলেও ভক্তান গ্ৰহাৰ্থ তাঁহার শরীর গ্রহণ অসম্ভব নহে। মীমাংসকেরা এ সকল কথার উত্তর দিয়াছেন, কিন্তু তাহার বিবরণ লিখিতে গেলে প্ৰবন্ধ বড় দীঘ এবং কটমটে হইয়া উঠে। ফলে বেদ মানিবে কেন ? এই তকের তিনটি মাত্র উত্তর প্রাচীন দশনশাস্ত্র হইতে পাওয়া যায় প্রথম। বেদ নিত্য এবং অপৌরষেয়, সতরাং ইহা মান্য। কিন্তু বেদেই আছে যে, ইহা অপৌরষেয় নহে। যথা ‘ঋচঃ সামানি যজ্ঞিরে” ইত্যাদি। দ্বিতীয়। বেদ ঈশ্বরপ্রণীত, এই জন্য মান্য। প্রতিবাদীরা বলিবেন যে, বেদ যে ঈশ্বরপ্রণীত, তাহার বিশিষ্ট প্রমাণ নাই। বেদে আছে, বেদ ঈশ্বরসম্ভবত, কিন্তু যেখানে তাঁহারা বেদ মানিতেছেন না, তখন তাঁহারা বেদের কোন কথা মানিবেন না। এ বিষয়ে যে বাদানবাদ হইতে পারে, তাহা সহজেই অনাময়, এবং তােহা সবিস্তারে লিখিবার আবশ্যকতা নাই। যাঁহারা ঈশ্বর মানেন না, তাঁহারা বেদ ঈশ্বরপ্রণীত বলিয়া যে স্বীকার করবেন না, তাহা বলা বাহাল্য। তৃতীয়। বেদের নিজ শক্তির অভিব্যক্তির দ্বারাই বেদের প্রামাণ্য সিদ্ধ হইতেছে। সাংখ্যকার এই উত্তর দিয়াছেন। সায়নাচাৰ্য্য বেদার্থপ্রকাশে এবং শঙ্করাচাৰ্য্য ব্ৰহ্মসত্রের ভাষ্যে ঐরাপ নিন্দেশ করিয়াছেন। এ সম্পবন্ধে কেবল ইহাই বক্তব্য যে, যদি বেদের এরপে শক্তি থাকে, তবে বেদ অবশ্য মান্য। কিন্তু সে শক্তি আছে কি না, এই এক সর্বতন্ত্র বিচার আবশ্যক হইতেছে। অনেকে বলিবেন যে, আমরা এরাপ শক্তি দেখিতেছি না। বেদের আগৌরব হিন্দীশাস্ত্রেও আছে। বেদ মানিতে হইবে কি না, তাহা সকলেই আপনাপন বিবেচনামত মীমাংসা করিবেন, কিন্তু আমরা পক্ষপাতশান্য হইয়া যেখানে লিখিতে প্রবত্ত হইয়াছি, এবং যখন বেদের গৌর নিববর্বাচনাত্মক তত্ত্ব লিখিয়াছি, তখন হিন্দীশাস্ত্রে কোথায় কোথায় বেদের অগৌরব আছে, তাহাও আমাদিগকে নির্দেশ করিতে হয়। ১ । মন্ডকোপনিষদের আরম্ভে “দ্ধে বিদ্যে বেদিতব্যে ইতিহ্য সম যদৱহ্মবিদো বদন্তি পরা চৈবাপরা চ।। তন্ত্রাপরা ঋগ্বেদো যজকেবাদঃ সামবেদোহথব্ববেদঃ শিক্ষাকলপব্যাকরণং নিরক্তং ছন্দো জ্যোতিষমিতি। অর্থ পরা যায়া তদক্ষরমাধিগম্যতে।” অর্থাৎ বেদাদি শ্রেন্ঠেতর বিদ্যা। ২। শ্ৰীমদ্ভগবদ্গীতায়, ২ ৷৷ ৪২, বেদপারায়ণদিগের নিন্দা আছে, যথা যমিমাং পণ্ডিপতাং বাচস্পপ্রবন্দন্ত্যবিপশ্চিতঃ। বেদবাদীরতাঃ পাৰ্থ নান্যদন্তীতি বান্দিনঃ ॥ কামাত্মানঃ সবগ পরাঃ জন্মকৰ্ম্মফলপ্ৰদাম । ক্রিয়াবিশেষবহলাং ভোগৈশ্বৰ্য্যগতিং প্রতি ৷ Roo