পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबक्ष श्रबश्क-ङाब्रङबद्दबद्ध श्वाक्षौनऊा ७ंबर •ब्राक्षौनडा রাজা দরস্থিত বলিয়া আধনিক ভারতবর্ষের সশাসনের বিঘা ঘটে বটে, কিন্তু তেমন রাজা স্বেচ্ছাচারী বলিয়া সাশাসনের যে সকল বিঘা ঘটিবার সম্ভাবনা, তাহা ঘটে না। কোন রাজা ইন্দ্রিয়পরতন্ত্র-অন্তঃপরেই বাস করেন, রাজ্য দন্দশাগ্ৰস্ত হইল। কোন রাজা নিষ্ঠর, কোন রাজা অৰ্থগােধ। প্রাচীন ভারতবর্ষে এ সকলে গারতের ক্ষতি জন্মিত। আধনিক ভারতবর্ষে দুৰ্ব্বস্থিত বুঢ়া বা রাজার কােন প্রকার দােষ ঘটিলে, তাহার ফল ভারতবর্ষে ফািলবার 5ठ ठ । দ্বিতীয়, যেমন আধনিক ভারতবর্ষে ইংলন্ডের মঙ্গলের জন্য ভারতবর্ষের মঙ্গল কখন কখন নস্ট হয়, তেমনি প্রাচীন ভারতে রাজার আত্মসখের জন্য রাজ্যের মঙ্গল নািস্ট হইত। পথিবীরাজ। জয়চন্দ্রের কন্যা হরণ করিয়া আত্মসখি বিধান করিলেন, তাহাতে উভয় মধ্যে সমরাগ্নি প্রজবলিত হইয়া, উভয়ের অপ্রীতি ও তেজোহানি ঘটিতে লাগিল। তন্নিবন্ধন উভয়েই মসলমানের হন্তে পতিত হইলেন। আধনিক ভারতবর্ষে দরবাসী রাজার আত্মসখের অন্যুরোধ কোন অনিন্ঠপাতের সম্ভাবনা নাই। কিন্তু এটি কেবল পরতন্ত্ৰতা সম্পবন্ধে উক্ত হইল, আমরা পরাধীনতা ও পরতন্ত্রতায় প্রভেদ করিয়াছি। ভারতবর্ষে ইংরেজের প্রাধান্য, এবং দেশীয় প্রজাসকল তাঁহাদিগের নিকট অবনত, তাঁহাদিগের সখের জন্য কিয়দংশে যে ভারতবাসীদিগের সখের লাঘব ঘটিয়া থাকে, তাহা এ দেশীয় কোন লোকেই অস্বীকার করিবেন না। এরপ জাতির উপর জাতির প্রাধান্য প্রাচীন ভারতে ছিল না। ছিল না বটে, কিন্তু তত্তল্য বৰ্ণপীড়ন ছিল। ইহা কেহই অস্বীকার করিবেন। না যে, চিরকালই ভারতবর্ষের সাধারণ প্ৰজা শািন্দ্র; উৎকৃষ্ণটি বণত্রয় শদ্রের তুলনায় অলপসংখ্যক ছিলেন। সেই বৰ্ণােত্রয়ের মধ্যে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্ৰিয় দেশের শাসনকৰ্ত্তা। কিন্তু এ সকল কথা একটি সবিস্তারে লেখা আবশ্যক হইল। লোকের বিশ্বাস আছে যে, প্রাচীন ভারতে কেবল ক্ষত্ৰিয়ই রাজা ছিলেন। বাস্তবিক তাহা নহে, রাজকাৰ্য্য দাই অংশে বিভক্ত ছিল। যাদ্ধাদির ভার ক্ষত্ৰিয় জাতির প্রতি ছিল; রাজব্যবস্থা নিব্বাচন, বিচার ইত্যাদি কায্যের ভার ব্রাহ্মণের উপর ছিল। এক্ষণে যেমন সিবিল ও মিলিটারি, এই দই অংশে রাজকাৰ্য্য বিভক্ত, তখনকার কৰ্ম্মমভাগ কতকটা সেইরােপই ছিল। ব্ৰাহ্মণের সিবিল কম্পমচারী, ক্ষত্ৰিয়েরা মিলিটারি। এখনও যেমন মিলিটারি অপেক্ষা সিবিল কৰ্ম্মচারীদিগের প্রাধান্য, তখনও সেইরূপ ছিল; রাজপরিষদিগের মধ্যে ক্ষত্ৰিয়েরাই রাজা নাম ধারণ করিতেন, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাঁহাদিগের উপরেও ব্রাহ্মণের প্রাধান্য ছিল। প্রাচীন ভারতে ক্ষত্ৰিয়েরাই সব্বদা রাজা ছিলেন, এমত নহে। বোধ হয়, আদ্যকালে ক্ষত্ৰিয়েরাই রাজা ছিলেন, কিন্তু বৌদ্ধকালে মৌৰ্য্য প্রভৃতি সঙ্করজাতীয় রাজবংশ দেখা যায়। চীনপরিব্রাজক হোয়েলথ সাঙ সিন্ধ্যাপারে ব্রাহ্মণ রাজা দেখিয়া গিয়াছিলেন। অন্যত্রও ব্রাহ্মণেরা রাজা নাম ধারণ করিয়াছিলেন। মধ্যকালে অধিকাংশ রাজাই রাজপতি। রাজপত্যেরা ক্ষত্ৰিয়বংশসম্পভূত সঙ্করজাতি মাত্র। ক্ষত্ৰিয়দিগের প্রাধান্য, প্রাচীন ভারতে চিরকাল অপ্ৰতিহত ছিল না, ব্রাহ্মণদিগের গৌরব এক দিনের জন্য লঘ হয় নাই। বেদদ্বেষী বৌদ্ধদিগের সময়েও রাজকাৰ্য্য ব্ৰাহ্মণদিগের হস্ত হইতে অন্য হস্তে যায় নাই।-কেন না, তাঁহারাই পন্ডিত, সশিক্ষিত, এবং কাৰ্যক্ষম। অতএব প্রাচীন ভারতে ব্ৰাহ্মণেরাই প্রকৃতরাপে রাজপরিষপদে বাচ্য। সাবিজ্ঞ লেখক বাবা তারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বেঙ্গল মাগাজিনে একটি প্রবন্ধে যথার্থই লিখিয়াছিলেন যে, ব্ৰাহ্মণেরাই প্রাচীন ভারতের ইংরেজ ছিলেন। এক্ষণে জিজ্ঞাস্য যে, আধনিক ভারতবর্ষে দেশী বিলাতিতে যে বৈষম্য, তাহা প্রাচীন ভারতে ব্ৰাহ্মণ শদ্রের বৈষম্যের অপেক্ষা কি গারতের ? রাজা ভিন্নজাতীয় হইলে যে জাতিপীড়া জন্মে। তাহা দই প্রকারে ঘটে। এক রাজব্যবস্থজনিত; আইনে বিধি থাকে যে, রাজার সবজাতীয়গণের পক্ষে এই এই রূপ ঘটিবেক, দেশীয় লোকের পক্ষে অন্য প্রকার ঘটিবেক । দ্বিতীয়, সবজাতিপক্ষপাতী রাজার ইচ্ছাজনিত; রাজপ্ৰসাদ রাজা সবজাতিকে দিয়া থাকেন এবং তিনি সবজাতিপক্ষপাতী বলিয়া রাজ্যের কায্যে সািবজাতিকেই নিযক্ত করিয়া থাকেন। ইংরেজ-শাসিত ভারতে, এবং ব্রাহ্মণ-শাসিত ভারতে এই দাইটি দোষ কি প্রকার বর্তমান ছিল দেখা যাউক । ১ম। ইংরেজীদিগের কৃত রাজব্যবস্থানসারে, দেশী অপরাধীর জন্য এক বিচারালয়, বিলাতি S80