পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७कम ब्रbनाबली “কিয়ৎকাল অতীত হইল, কংস* যাদবগণকে পরাভূত করিয়া সহদেবা ও অনজা নামে বাহাদুথের দাই কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিল। ঐ দরোত্মা স্বীয় বাহবিলে জ্ঞাতিবগকে পরাজয় করতঃ সৰ্ব্ববাপেক্ষা প্রধান হইয়া উঠিল। ভোজবংশীয় বদ্ধ ক্ষত্ৰিয়গণ মঢ়মতি কংসের দৌরাত্ম্যে সাতিশয় ব্যথিত হইয়া জ্ঞাতিবগকে পরিত্যাগ করিবার নিমিত্ত আমাকে অননুরোধ করিলেন। আমি তৎকালে অনুকুরকে আহক-কন্যা প্ৰদান করিয়া জ্ঞাতিবগের হিতসাধনাথ, বলভদ্র সমভিব্যাহারে কংস ও সানামাকে সংহার করিলাম।” ইহাতে কৃষ্ণ বলরাম বন্দোবন হইতে আনীত হওয়ার কথা কিছমাত্র নাই। বরং এমন বাঝাইতেছে যে, কংসবধের পর্বে হইতেই কৃষ্ণ বলরাম মথরোতে বাস করিতেন। কৃষ্ণ বলিতেছেন যে, বদ্ধ যাদবেরা জ্ঞাতিবগকে পরিত্যাগ করিবার নিমিত্ত তাঁহাকে অনরোধ করিয়াছিলেন, অর্থাৎ পলাইয়া আত্মরক্ষা করিতে পরামর্শ দিয়াছিলেন। কৃষ্ণ তাহা না করিয়া জ্ঞাতিদিগের মঙ্গলাথ কংসকেই বধ করিলেন। ইহাতে বলরাম ভিন্ন আর কেহ তাঁহার সহায় ছিল কি না, ইহা প্রকাশ নাই। কিন্তু ইহা সপস্ট বাঝা যাইতে পারিতেছে যে, অন্যান্য যাদবগণ প্রকাশ্যে তাঁহাদের সাহায্য করুন, বা না করুন, কংসকে কেহ রক্ষা করিতে চেন্টা করেন নাই। কংস তাঁহাদের সকলের উপর অত্যাচার করিত, এজন্য বরং, বোধ হয়, তাঁহারাই রাম-কৃষ্ণের বলাধিক্য দেখিয়া তাঁহাদিগকে নেতৃত্বে সংস্থাপন করিয়া কংসের বন্ধসাধন করিয়াছিলেন। এইটকু ভিন্ন আর কিছ ঐতিহাসিক তত্ত্ব পাওয়া যায় না। আর ঐতিহাসিক তত্ত্ব ইহা পাওয়া যায় যে, কৃষ্ণ কংসকে নিহত করিয়া কংসের পিতা উগ্রসেনকেই যাদবদিগের আধিপত্যে সংস্থাপিত করিয়াছিলেন। কেন না, মহাভারতেও উগ্রসেনকে যাদবদিগের অধিপতি স্বরপ বাণিতি দেখিতে পাওয়া যায়। এ দেশের চিরপ্রচলিত রীতি ও নীতি এই যে, যে রাজাকে বধ করিতে পারে, সেই তাহার রাজ্যভোগী হয়। কংসের বিজেতা কৃষ্ণ অনায়াসেই মথরিার সিংহাসন অধিকৃত করিতে পারিতেন; কিন্তু তিনি তাহা করিলেন না, কেন না, ধৰ্ম্মতঃ সে রাজ্য উগ্রসেনের। উগ্রসেনকে পদচু্যত করিয়াই কংস রাজা হইয়াছিল। ধৰ্ম্মমই কৃষ্ণের নিকট প্রধান, তিনি শৈশবাবাঁধই ধৰ্ম্মমাত্মা। অতএব যাহার রাজ্য, তাহাকেই তিনি রাজ্য প্রদান করিলেন। তিনি ধৰ্ম্মমােনরদ্ধ হইয়াই কংসকে নিহত করিয়াছিলেন। আমরা পরে দেখিব যে, তিনি প্রকাশ্যে বলিতেছেন যে, যাহাতে পারহিত, তাহাই ধৰ্ম্ম। এখানে ঘোরতর অত্যাচারী কংসের বধে সমস্ত যাদবগণের হিতসাধন হয়, এই জন্য তিনি কংসকে বধ করিয়াছিলেন-ধৰ্ম্মাৰ্থ মাত্র। বধ করিয়া করণহাদয় আদশ পরিষ কংসের জন্য বিলাপ করিয়াছিলেন, এমন কথা গ্রন্থে লিখিত আছে। এই কংসবধে আমরা প্রথমে প্রকৃত ইতিহাসের সাক্ষাৎ পাই এবং এই কংসবধেই দেখি যে, কৃষ্ণ পরম বলশালী, পরম কাৰ্য্যদক্ষ, পরম ন্যায়পর, পরম ধৰ্ম্মমাত্মা, পরহিতে রত, এবং পরের জন্য কাতর। এইখান হইতে দেখিতে পাই যে, তিনি আদর্শ মানষে। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ-শিক্ষা পরাণে কথিত হইয়াছে যে, কংসবধের পর কৃষ্ণ বলরাম কাশীতে সান্দীপনি ঋষির নিকট শিক্ষাথে গমন করিলেন, এবং চতুঃষষ্টিদিবসমধ্যে শস্ত্রবিদ্যায় সশিক্ষিত হইয়া গািরদক্ষিণা প্ৰদানান্তে মাথারায় প্রত্যাগমন করিলেন। কৃষ্ণের শিক্ষা সম্পবন্ধে ইহা ছাড়া আর কিছ পরাশেতিহাসে পাওয়া যায় না। নন্দালয়ে তাঁহার কোন প্রকার শিক্ষা হওয়ার কোন প্রসঙ্গ কোন গ্রন্থে পাওয়া যায় না। অথচ নন্দ জাতিতে বৈশ্য ছিলেন, বৈশ্যদিগের বেদে অধিকার ছিল। বৈশ্যালয়ে তাঁহাদিগের কোনও প্রকার বিদ্যাশিক্ষা না হওয়া বিচিত্র বটে। বোধ হয়, শিক্ষার সময় উপস্থিত হইবার পর্বেই তিনি

  • কালীপ্রসন্ন সিংহ মহোদয়ের অন্যবাদ। এখানে উদ্ধত করিলাম, কিন্তু বলিতে বাধ্য, এই অনাবাদে আছে “দানবরাজ কংস।” মিলে তাহা নাই, যথা

কস্যচিত্ত্বথ কালস্য কংসো নিমথ্য যাদবন। नऊद्मार “मानवज्ञाख” भका डूलिब्रा मिद्धाहि। 8°划