পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী আত্মরক্ষা ধর্মের গৌরব অধিক। যদি জগতে লোকে পরস্পরের হিত না কবে, পরস্পরের রক্ষা না করে, তাহাতে জগৎ মিনােষ্যশান্য হইবে না। অসভ্য সমাজ সকল ইহার উদাহরণ। কিন্তু সকলে আত্মরক্ষায় বিরত হইলে, সভ্য কি অসভ্য, কোন সমাজ কোন প্রকার মনষ্য বা জীব জগতে থাকিবে না। অতএব পরাহিতের আগে আপনার প্রাণরক্ষা। শিষ্য। এ সকল অতি আশ্রদ্ধের কথা বলিয়া আমার বোধ হইতেছে। মনে করন, পরকে না দিঘা, আপনি খাইব ? গাের । তুমি যাহা কিহু, আহায্য সংগ্রহ কর, তাহা যদি সমস্তই প্রত্যহ অন্যকে বিলাইয়া দাও, তবে পাঁচ-সাত দিনে তোমার দানধন্মের শেষ হইবে। কেন না, তুমি নিজে না খাইয়া মরিয়া যাইবে। পরকে দিবে, কিন্তু পরকে দিয়া আপনি খাইবে। যদি পরকে দিতে না কুলায়, তবে কাজেই পরকে না দিযা আপনিই খাইবে। এই “না। কুলায়” কথাটাই যত অধৰ্ম্মের গোড়া। যাঁর নিজের আহারের জন্য প্রত্যহ তিনটা পাঠা, দেড় কুড়ি মাছের প্রাণ সংহার হয়, তাঁর কাজেই পরকে দিতে কুলায় না। যে সব্বভুতে সমান দেখে, আপনাতে ও পরে সমান দেখে, সে পরকে যেমন দিতে পারে, আপনি তেমনই খায়। ইহাই ধৰ্ম্মম-আপনি উপবাস করিয়া পরকে দেওয়া ধৰ্ম্মম নহে। কেন না, আপনাতে ও পরে সমান করিতে হইবে। শিষ্য। ভাল, আমার প্রযক্ত উদাহরণটা না হয়, অনপোষাক্ত হইয়াছে। কিন্তু কখন কি পরোপকারাথ আপনার প্রাণ বিসজ্জাজন করা কত্তব্য নহে ? গর। অনেক সময়ে তাহা অবশ্য কত্তব্য। না করাই অধৰ্ম্ম। শিষ্য। তাহার দই একটা উদাহরণ শনিতে ইচ্ছা করি। গর। মে মাতা পিতার নিকট তুমি প্ৰাণ পাইয়াছ, যাঁহাদিগের যত্নে তুমি কৰ্ম্মক্ষম ও ধৰ্ম্মক্ষম হইয়াছ, তাঁহাদিগের রক্ষার্থ প্রয়ােজনমতে আপনার প্রাণ বিসর্জনই ধৰ্ম্ম না করা অ সেইরােপ প্ৰাণদানাদি উপকার যদি তুমি অন্যের কাছে পাইয়া থােক, তবে তাহার জন্যও ঐরাপ আত্মপ্রাণ বিসজজনীয়। যাহাঁদের তুমি রক্ষক, তাহদের জন্য আত্মপ্রাণ ঐরাপে বিসডিজনীয়। এখন বিবেচনা করিয়া দেখ, তুমি রক্ষক কাহার। তুমি রক্ষক, (১) সন্ত্রীপত্রাদি পরিবারবগের, (২) সবদেশের, (৩) প্রভুর, অর্থাৎ যে তোমাকে রক্ষাৰ্থ বেতন দিয়া নিষিক্ত করিয়াছে, তাহার ; (৪) শরণাগাতের। অতএব সত্ৰীপত্রিাদি, সবিদেশ, প্ৰভু, এবং শরণাগত, এই সকলের রক্ষাৰ্থ আপনার প্রাণ পরিত্যাগ করা ধৰ্ম্মম | যাহারা আপনাদের রক্ষায় অক্ষম, মনষ্যে মাত্রেই তাঁহাদের রক্ষক। সন্ত্রীলোক, বালক, বদ্ধ, পীড়িত, অন্ধ খঞ্জাদি অঙ্গহীন, ইহারা আত্মরক্ষায় অক্ষম। ইহাদের রক্ষাৰ্থ প্ৰাণ পরিত্যাগ ধৰ্ম্ম । এই রােপ আরও অনেক স্থান আছে। সকলগলি গণনা করিয়া উঠা যায় না। প্রয়োজনও নাই। যাহার জ্ঞানাঙ্গজনী ও কাষ্যকারিণী বত্তি অনশীলিত ও সামঞ্জস্য প্রাপ্ত হইয়াছে, সে সকল অবস্থাতেই বঝিতে পরিবে যে, এই স্থলে প্ৰাণ পরিত্যাগ ধৰ্ম্ম, এই স্থলে অধৰ্ম্ম। শিষ্য। আপনার কথার তাৎপৰ্য্য এই বঝিলাম যে, আত্মপ্রীতি প্রীতিবত্তির বিরোধী ফুলেঃ সু যোগ্য নহে। উপযুক্ত নিয়মে উহার সীমাবদ্ধ করিয়া উহারও সমাক অনুশীলন । दGग्ने ? গর। বস্তুতঃ যদি আত্ম-পর সমান হইল, তবে আত্মপ্রীতি ও জাগতিক প্রীতি, ভিন্ন বিবেচনা করাও উচিত নহে। উপযক্তিরাপে উভয়ে অনশীলিত ও সামঞ্জস্যবিশিষ্ট হইলে আত্মBBuD DBBDB BtDB BB BD DBBD DDDD S BDBD DS DD DDD DBBBB DDDB DDD S ধৰ্ম্মের, বিশেষতঃ হিন্দধমের মলে একমাত্র ঈশ্বর। ঈশ্বর সব্বভূতে আছেন; এজন্য সব্বভুতের হিতসাধন আমাদের ধৰ্ম্ম, কেন না, বলিয়াছি যে-সকল বত্তিকে ঈশ্বরমখী করাই মনষ্যেজন্মের চরম উদ্দেশ্য। যদি সব্বভূতের হিতসাধন ধৰ্ম্মম হয়, তবে পরেরও হিতসাধন যেমন আমার ধৰ্ম্ম, তেমনি আমার নিজেরও হিতসাধন আমার ধৰ্ম্ম । কারণ, আমিও সব্বভূতের অন্তৰ্গত; ঈশ্বর যেমন অপর ভূতে আছেন, তেমনি আমাতেও আছেন। অতএব পরেরও রক্ষাদি। আমার ধৰ্ম্মম এবং আপনারও রক্ষাদি আমার ধৰ্ম্মম। আত্মপ্রীতি ও জাগতিক প্রীতি এক । শিষা। কিন্তু কথাটার গোলযোগ এই যে, যখন আত্মাহত এবং পরহিত পরস্পর বিরোধী V6