बख्किा ब्राफ़नाबढी বাঙ্গালি-পাঠক-মধ্যে নিতান্ত অশিক্ষিত অনেক আছেন। তাঁহারা ভাবিলেন, যদি দীনবন্ধর গ্রন্থের মািল প্রাচীন উপন্যাসে, ইংরেজি গ্রন্থে বা প্রচলিত গলেপ আছে, তবে আর তাঁহার গ্রন্থের প্রশংসা কি ? তাঁহারা ভাবিবেন, আমি দীনবন্ধর অপ্রশংসা করিতেছি। এ সম্প্রদায়ের পাঠকদিগকে কোন কথা বঝাইয়া বলিতে আমি অনিচ্ছাক, কেন না, জলে আলিপনা সম্ভবে না। সেক্ষপীয়রের প্রায় এমন নাটক নাই যাহা কোন প্রাচীনতর গ্রন্থমলেক নহে। সম্বকটের অনেকগলি উপন্যাস প্রাচীন কথা বা প্রাচীন-গ্রন্থমালক। মহাভারত রামায়ণের অন্যাকরণ। ইনিদ, ইলিয়দের অন্যাকরণ। ইহার মধ্যে কোন গ্রন্থ অপ্রশংসনীয় ? “সধবার একাদশী * “বিনোেপাগলা বড়ো"র পরে প্রকাশিত হইয়াছিল, কিন্তু উহা তংপকেব লিখিত হইয়াছিল। সধবার একাদশীর যেমন অসাধারণ গণ আছে, তেমনি অনেক অসাধারণ দোষও আছে। এই প্রহসন বিশদ্ধ রচির অনমোদিত নহে, এই জন্য আমি দীনবন্ধকে বিশেষ অননুরোধ করিয়াছিলাম যে, ইহার বিশেষ পরিবত্তন ব্যতীত প্রচার না হয়। কিছ দিন মাত্র এ অননুরোধ রক্ষা হইয়াছিল। অনেকে বলবেন, এ অনরোধ রক্ষা হয় নাই ভালই হইয়াছে, তানপী। “নিমচাঁদ"কে দেখতে পাইয়াছি। অনেকে ইহার বিপরীত বলিবেন। ‘লীলাবতী।” বিশেষ যত্নের সহিত রচিত, এবং দীনবন্ধীর অন্যান্য নাটকাপেক্ষা ইহাতে দোষ অলপ। এই সময়কে দীনবন্ধীর কবিত্বসায্যের মধ্যাহ্নকােল বলা যাইতে পারে। ইহাব পাব হইতে কি৭ি৮৭ তেজঃক্ষতি দেখা যায়। এরূপ উদাহরণ অনেক পাওয়া যায়। সঙ্কট প্রথমে পদ্যগ্রন্থ লিখিতে আরম্ভ করেন। প্রথম তিনখানি কাব্য অত্যুৎকৃষ্ট হয়, ‘1-ady of the Lake নামক কাব্যের পর আর তেমন হইল না। দেখিয়া, সকীট পদ্য লেখা ত্যাগ করিলেন, গদ্যকাব্য লিখিতে আরম্ভ করিলেন। গদ্যকাব্য-লেখক বলিয়া সম্বকটের যে যশ, তাহাৰ। মল প্রথম পনের বা BBDBDB BBDBDBD S SLLLL S BBB BB BBB BBB BBBDB DBDBB BBB BBBBB BBB শ্রেণীতে স্থান পাইবার যোগ্য হয় নাই। মধ্যাহের প্রখর রৌদ্রের সঙ্গে সন্ধ্যাকালীন ক্ষীণালোকের থে স” বন্ধ i vanhoe’’ এবং ‘Kenilworth.’ প্রভৃতির সঙ্গে সঙ্কটের শেষ দই-খানি গদ্যকাবের সেই সমন্বন্ধ । “লীলাবতী"র পর দীনবন্ধর লেখনী কিছুকাল বিশ্রাম লাভ কনিয়াছিল। সেই বিশ্রামের প - স রধানী কাবা” “জামাই-বারিক” এবং “দ্বাদশ কবিতা” অতি শীঘ্র শীঘ্র প্রকাশিত হয়। “সরধানী “ কাব্য অনেক দিন পকেবা লিখিত হইয়াছিল। ইহার কিযদংশ “বিযেপাগলা বড়ো"রও পাবে লিখিত হইয়াছিল। ইহাও প্রচার না হয়, আমি এমত অননুরোধ কবিয়ছিলাম, --আমার বিবেচনায় ইহা দীনবন্ধর লেখনীর যোগ্য হয় নাই। বোধ হয়, অন্যান্য বন্ধগণও এইরপ অননুরোধ করিয়াছিলেন। এই জন্য ইহা অনেক দিন অপ্রকাশ ছিল। দীনবন্ধর মাতৃত্যুর অলপকাল পর্বে “কমলে কামিনী” প্রকাশিত হইয়াছিল। যখন ইহা সাধারণে প্রচারিত হয়, তখন তিনি রাগশয্যায়। আমি দীনবন্ধীর গ্রন্থ সকলের কোন সমালোচনা করিলাম না। গ্রন্থ-সমালোচনা এ প্রবন্ধে উদ্দিন্ট নহে; সমালোচনার সমযও নহে। দীনবন্ধ যে সহলেখক ছিলেন, ইহা সকলেই জানেন, আমাকে বলিতে হইবে না। তিনি যে অতি সদক্ষ রাজকৰ্ম্মমচারী ছিলেন, তাহাও কিঞ্চিৎ উল্লেখ করিষাছি । কিন্তু দীনবন্ধর একটি পরিচয়ের বাকি আছে। তাঁহার সরল, অকপট, স্নেহময় হৃদয়ের পরিচয় কি প্রকারে দিব ? বঙ্গদেশে আজকাল গণবান ব্যক্তির অভাব নাই, সদক্ষ কমচারীর অভাব নাই, সহলেখকেরও নিতান্ত অভাব নাই, কিন্তু দীনবন্ধবে অন্তঃকরণের মত অন্তঃকরণের অভাব বঙ্গদেশে কেন-মনষ্যলোকে-চিরকাল থাকিবে। এ সংসারে ক্ষদ্র কীট হইতে সম্রাট পর্যােন্ত সকলেরই এক স্বভাব-অহঙ্কার, অভিমান, ক্ৰোধ, সবার্থপরতা, কপটতায় পরিপািণ। এমন সংসারে দীনবন্ধর ন্যায় রত্নই। অমল্য রত্ন। সে পরিচযা দিবারই বা প্রয়োজন কি ? এই বঙ্গদেশে দীনবন্ধকে কে বিশেষ না জানে ? দরজি লিঙ্গ হইতে বরিশাল পৰ্য্যন্ত, কাছাড় হইতে গঞ্জাম পৰ্য্যন্ত, ইহার মধ্যে কয়জন ভদ্রলোক দীনবন্ধর বন্ধ মধ্যে গণ্য নহেন ? কয়জন তাঁহার সবভাবের পরিচয় না জানেন ? কাহার নিকট পরিচযা দিতে হইবে ? দীনবন্ধ যেখানে না গিয়াছেন বাঙ্গালায়। এমত স্থান অলপই আছে। যেখানে গিয়াছেন সেইখানেই বন্ধ সংগ্ৰহ করিয়াছেন। যে তাঁহার আগমন-বাৰ্ত্তা শনিত, সেই তাঁহার সহিত ԵՀ է:
