পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙিকমিচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হইলেন। এখানি প্রকাশিত হয় ১৮৬৫ সনে। ইহার পরেই "কপালকুণডালা’ বাহির হইল ১৮৬৬ খ্রীস্টাব্দে। তিন বৎসর পরে ১৮৬৯ সনে তাঁহার ‘মণিালিনী’ আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম উপন্যাস প্রকাশের পরেই বঙ্গের বিদগধমন্ডলী বাংলা ভাষার মাধ্যায্য ও ঐশবৰ্য্য অন্যভব করিতে পারিলেন। পর পর আরও দাইখানি উপন্যাস প্রকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের খ্যাতি সব্বত্র ছড়াইয়া পড়িল। বঙ্কিমচন্দ্রের বাংলা উপন্যাসসমহা সম্পকে স্বতন্ত্র অধ্যায়ে বিশদভাবে আলোচনা কয়া হইবে। বহরমপরে (মশিদাবাদ) থাকার সময়ই (১৮৬৯-৭৪) যেন বঙিকমের সাহিত্যিক প্রতিভা বিশেষভাবে সাফাত্তি লাভ করে। শােধ উপন্যাস রচনা নহে, সাহিত্য-সংস্কৃতিকে কেন্দ্ৰ করিয়া সমাজের হিত-চিন্তায় তিনি অভিনিবিচাট হইলেন । তিনি কলিকাতাসােথ বেঙগল সোশ্যাল সায়ান্স airfiG|IGr, "On the Origin of Hindu Festivals" are "A Popular Literature for Bengal” নামক দাইটি সচিন্তিত ও সারগভা প্রবন্ধ পাঠ করেন। প্রথমটি বহরমপরে গমনের পব্বে পঠিত হইয়াছিল। উক্ত এসোসিয়েশনের "ট্রানজ্যাকসানসে” যথাক্রমে ১৮৬৯ ও ১৮৭o সনে প্ৰবন্ধ দাইটি প্রকাশিত হয়। ‘ক্যালকাটা রিভিয়' নামক সে যাগের বিখ্যাত ইংরেজী fearfiC3, Sy as iCr via is "Bengali Literature' g "Buddhism and Sankhya Philosophy” পত্ৰস্থ হইল। তাঁহার আরও দাইটি ইংরেজী প্ৰবন্ধ বাহির হয় প্রসিদ্ধ সাংবাদিক শম্ভুচন্দ্র মখোপাধ্যায়ের ‘মখাজিস ম্যাগাজিনে” যথাক্ৰমে ১৮৭২ ডিসেম্বর ও ১৮৭৩, মে মাসে। 22(afts ris, "The Confessions of a Young Bengal" are fr\offs, ra "The Study of Hindu Philosophy" i-RTS &CSS3 (8.3 -Cr if g is ICGS is 5-fbf\5T আবদ্ধ রাখিয়া বণ্ডিকম-মানস পরিতৃপ্ত হইল না। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মাতৃভাষার মাধ্যমে সর্বদেশ ও সবজাতির সেবায় অগ্রসর হইলেন। আর মশিদাবাদ-বহরমপরই হইল তাঁহার কম ক্ষেত্র। এই সময়ে বহরমপরে বহ মনীষীর সমাবেশ ঘটিয়াছিল। ভূদেব মখোপাধ্যায়, রামদাস সেন, লালবিহারী দে, রামগতি ন্যায়রত্ন, রাজকৃষ্ণ মখোপাধ্যায়, দীনবন্ধ মিত্র, লোহারাম শিরোরাত্ন, গঙ্গাচরণ সরকার, অক্ষয়চন্দ্র সরকার, বৈকুন্ঠনাথ সেন, তারাপ্ৰসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীননাথ গঙ্গোপাধ্যায়, গািরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (পরে হাইকোর্টের বিচারপতি) প্রমািখ সন্ধী ও মনীষীদের সঙ্গে স্বদেশ সমােজ সাহিত্য সংস্কৃতির আলোচনায় বঙ্কিমচন্দ্র একেবারে মশগল হইয়া যাইতেন। বঙ্কিমচন্দ্র রাশভারী লোক ছিলেন। কিন্তু সবদেশের সত্যিকার হিতকলেপ তিনি ক্ৰমে “সামাজিক” হইয়া উঠিলেন। দেশের মঙ্গলাৰ্থ কিরাপে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ সন্থাপন করা যায় তাহাই হইল। তাঁহার একান্ত ভাবনা। সাহিত্য-সেবা, দ্বিতীয় পৰবৰ্ণ : এই ভাবনা কায্যে রপোয়িত হইবার উপায়ও সত্বর নিণীত হইল। বঙিকমচন্দ্র ‘বঙগদশন” নামে একখানি বাংলা মাসিকপত্র প্রকাশের উদ্যোগ-আয়োজনে ব্যাপতি হইলেন। লেখক-গোষ্পাঠীরও অভাব হইল না। তিনি উপরোক্ত মনীষীবগকে বঙগবাণীর সেবায় অন্যপ্রাণিত করিয়াছেন। অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র, জগদীশনাথ রায়, অক্ষয়চন্দ্র সরকার প্রভৃতিও বঙ্কিমচন্দ্রের আগ্রহাতিশয়ে বাংলা সাহিত্যের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। সিভিলিয়ান রমেশচন্দ্র দত্ত তাঁহারই উপদেশে বাংলা লিখিতে উদ্বন্ধ হন। পরবত্তী কালে হরপ্রসাদ শাস্ত্ৰীঃ মহাশয়কেও তিনি বাংলা সাহিত্যের সেবায় প্রবত্ত করান। ‘বঙগদশন'কে কেন্দ্র করিয়া বঙিকমচন্দ্রের নেতৃত্বে যে লেখক-গোষ্ঠী গড়িয়া উঠিল, সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে उशीर्द কৃতিত্ব ক্ৰমশঃ পরিলক্ষিত হইতে থাকে। কবিবর হেমচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সপন্ডিত কৃষ্ণকমল ? ভট্টাচাৰ্য্যও পত্রিকার লেখক-শ্রেণী ভুক্ত হন। কি মহৎ উদ্দেশ্য লইয়া বঙিকমচন্দ্র ‘বঙ্গদর্শন’ । প্রতিস্ঠা করিয়াছিলেন, পত্র-সচেনায় তাহা এইরােপ উল্লেখ করিয়াছেন : “আমরা ইংরাজি বা ইংরাজের দেবষক নাহি। ইহা বলিতে পারি যে, ইংরাজ হইতে এ দেশের লোকের - যত উপকার হইয়াছে, ইংরাজি শিক্ষাই তাহার মধ্যে প্রধান। অনন্ত-রত্ন-প্রসতি ইংরাজি ভাষায় যত অনশীলন হয়, ততই ভাল।...এমন অনেক কথা আছে যে, তাহা কেবল বাঙগালির জন্য নহে; সমস্ত ভারতবর্ষ তাহার শ্রোতা হওয়া উচিত। সে সকল কথা ইংবাজিতে না বলিলে, সমগ্র ভারতবর্ষ বঝিবে কেন ? ভারতবষীয় নানা জাতি একমত, একপবামশী, একোদ্যোগী না হইলে, ভারতবর্ষের উন্নতি নাই। এই মতৈক্য, একপরামশিত্ব, একোদাম, কেবল ইংরাজির দ্বারা সাধনীয়; কেন না এখন সংস্কৃত লপ্তত হইয়াছে। বাঙ্গালী, মহারাষ্ট্ৰী, তৈলঙ্গী, পাঞ্জাবী, ইহাদের সাধারণ মিলন-ভূমি ইংরাজি ভাষা। এই SV