ईन्ब्रिा যে দিন কলিকাতায় পৌছিব, তাহার পর্বদিন, সন্ধ্যার কিছ পৰ্কেব জোয়ার আসিল । নৌকা আর গেল না। একখানা ভদ্র গ্রামের একটা বাঁধা ঘাটের নিকট আমাদের নৌকা লাগাইয়া রাখিল। কত সন্দর জিনিস দেখিলাম ; জেলেরা মোচার খোলার মত ভিওগীতে মাছ ধরিতেছে, দেখিলাম। ব্রাহ্মণ পন্ডিত ঘাটের রাণায় বসিয়া শাস্ত্রীয় বিচার করিতেছেন, দেখিলাম। কত সন্দরী, বেশভূষা করিয়া জল লইতে আসিল । কেহ জল ফেলে, কেহ কলসী পরে, কেহ আবার ঢালে, আবার পরে, আর হাসে, গলপ করে, আবার ফেলে, আবার কলসী ভরে। দেখিয়া আমার প্রাচীন গীতটি মনে পড়িল, একা কাঁকে কুম্ভ করি, কলসীতে জল ভরি জলের ভিতরে শ্যামরায় ! কলসীতে দিতে ঢেউ, আর না দেখিলাম। কেউ, পান কান, জলোতে লঙ্কায়। সেই দিন সেইখানে দাইটি মেয়ে দেখিয়াছিলাম, তাহদের কখন ভুলিব না। মেয়ে দাইটির বয়স সাত আট বৎসর। দেখিতে বেশ, তবে পরম সন্দরীও নয়। কিন্তু সাজিয়াছিল ভাল । কাণে দল, হাতে আর, গলায় একখানা গহনা। ফলে দিয়া খোঁপা বেড়িয়াছে। রঙগ করা, শিউলীফলে ছোবান, দইখানি কালপোড়ে কাপড় পরিয়াছে। পায়ে চারি গাছি করিয়া মল আছে। কাঁকালে ছোট ছোট দাইটি কলসী আছে। তাহারা ঘাটের রাণায় নামিবার সময়ে জোয়ারের জলের একটা গান গায়িতে গায়িতে নামিল। গানটি মনে আছে, মিন্ট লাগিয়াছিল, তাই এখানে লিখিলাম। একজন এক পদ গায়, আর একজন দিবতীয় পদ গায়। তাহদের নাম শানিলাম, অমলা আর নিম্পমালা। প্রথমে গায়িল,— 6 &न्द् ग्रु८ऊ, ঢেউ উঠেছে, বশি তলাতে জল । আয় আয় সই, उञळ्न ज्ञान्षि८, জল আনিগে চল ৷ নিমামলা ঘাটটি জড়ে, গাছটি বেড়ে, ফাটল। ফলের দল। আয় আয় সই, জল আনিগে, জল আনিগে চল ৷ ऊळ বিনোদ বেশে মচমকে হোসে, খােলব হাসির কল । কলসী ধ’রে, গরিব ক’রে বাজিয়ে যােব মল। আয় আয় সই, জল আনিগে, জল আনিগে চল ৷ নিম্পমালা গহনা গায়ে, আলতা পায়ে, কলকাদার আচিল । ঢিমে চালে, তালে তালে, বাজিয়ে যাব মল। আয় আয় সই, জল আনিগে, জল আনিগে চল ৷ O8N
