চন্দ্রশেখর শৈা । কায়মনোবাক্যে। চন্দ্রশেখর খরা খর দাম্পিট করিয়া, হস্ত সঞ্চালন করিয়া কহিলেন, “সত্য বল।” নিদ্রিতা যাবতী ভ্ৰ কুণ্ডিত করিল, “সত্যই বলিয়াছি।” চন্দ্রশেখর আবার নিশবাস ত্যাগ করিলেন, বলিলেন, “তবে ব্রাহ্মণকন্যা হইয়া জাতিভ্ৰশটা হইতে গেলে কেন ?” শৈ। আপনি সবাব শাস্ত্ৰদশী। বলন আমি জাতিভ্ৰষটা কি না। আমি তাহার অন্ন খাই নাই—তাহার সপলেট জলও খাই নাই। প্রত্যহ স্বহস্তে পাক করিয়া খাইয়াছি। হিন্দ পােরচারিকায় আয়োজন করিয়া দিয়াছে। এক নৌকায় বাস করিয়াছি বটে-কিন্তু গঙ্গার উপর। চন্দ্রশেখর অধোবদন হইয়া বসিলেন :-—অনেক ভাবিলেন—বলিতে লাগিলেন, “হায়! হায় । কি কুকৰ্ম্ম করিয়াছি।--সত্ৰীহত্যা করিতে বসিয়াছিলাম।” ক্ষণেক পরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ সকল কথা কাহাকেও বল নাই কেন ?” শৈ। আমার কথায় কে বিশদ্বাস করিবে ? চ । এ সকল কথা কে জানে ? শৈ। ফন্ডটির আর পাৰ্ব্ববতী । চ। পাববতী বেলাথায় ? শৈ। মাসাবধি হইল মঙ্গেরে মরিয়া গিয়াছে। চ। ফ্যািটর কোথায় ? শৈ। উদয়নালায়, নবাবের শিবিরে। চন্দ্রশেখর কিয়ৎক্ষণ চিন্তা কবিয়া পনরপি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার রোগের কি প্রতিকার হইবে –বঝিতে পাের ?” শৈ। আপনার যোগবল আমাকে দিয়াছেন। --তৎপ্রসাদে জানিতে পারিতেছি—আপনার শ্ৰীচরণকৃপায়, আপনার ঔষধে আরোগ্যলাভ করিব। চ। আরোগ্য লাভ করলে, কোথা যাইতে ইচ্ছা করা ? শৈ। যদি বিষ পাই তা খাই - কিন্তু নরকের ভয় করে। চ। মরিতে চাও কেন ? শৈ। এ সংসারে আমার সােথান কোথায় ? চ। কেন, আমার সাহে ? শৈ। আপনি আর গ্রহণ করিবেন ? চ। যদি করি ? শৈ। তবে কাযমনে আপনার পদসেবা করি। কিন্তু আপনি কলঙকী হইবেন। এই সময়ে দরে অশেবর পদ শবদ শনা গেল। চন্দ্রশেখর জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার যোগবল নাই—রিমানন্দ স্বামীর যোগবল পাইয়াছি,-বল ও কিসের শবদ “” ” শৈ । ঘোড়ার পায়ের শবদ । চ। কে আসিতেছে ? শৈ। মহম্মদ ইরফান। —নবাবের সৈনিক । চ। কেন আসিতেছে। শৈ। আমাকে লইয়া যাইতে—নবাব আমাকে দেখিতে চাহিয়াছেন। চ। ফন্টের সেখানে গেলে পরে তোমাকে দেখিতে চাহিয়াছেন, না তৎপকেবা ? শৈ। না। দই জনকে আনিতে এক সময় আদেশ করেন। চ। কোন চিন্তা নাই, নিদ্রা যাও । এই বলিয়া চন্দ্ৰশেখর সকলকে ডাকিলেন। তাহারা আসিলে বলিলেন যে, “এ নিদ্রা যাইতেছে। নিদ্রা ভঙগ হইলে, এই পাত্ৰস্থ। ঔষধ খাওয়াইও । সম্প্রতি, নবাবের সৈনিক আসিতেছে কল্য শৈবলিনীকে লইয়া যাইবে । তোমরা সঙ্গে যাইও ।” সকলে বিসিমত ও ভীত হইল। চন্দ্ৰশেখরকে জিজ্ঞাসা করিল, “কেন ইহাকে নবাবের নিকট লইয়া যাইবে ?” চন্দ্রশেখর বলিলেন, “এখনই শনিবে, চিন্তা নাই।” 8 VN
